কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবে পিছিয়ে গেছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের একটি টেস্ট। স্থগিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর। ঝুলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফরের ভাগ্য।
আগামী ৩০ জুলাই শুরু হওয়ার কথা ইংল্যান্ড-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এদিকে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। এই সিরিজের ভাগ্যও তাই ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়।
২০২১ সালের জুনে লর্ডসে হওয়ার কথা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে আজহার। ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এমনটি জানান ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
“বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে, সূচি অনুযায়ী সদস্য দলগুলোর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো শেষ করা কঠিন হবে। তাই আশা করি, আইসিসি এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়াবে, যেন সব সদস্য দেশ তাদের ম্যাচগুলো শেষ করতে পারে। সেটাই ঠিক হবে।”
দর্শকশূন্য মাঠে ক্রিকেট ফেরার পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকেই। পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়কও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে খালি গ্যালারিতে খেলার পক্ষে কথা বললেন।
“দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রীড়ানুরাগীরা কোনো খেলাই দেখতে পারছে না, এমনকি টিভিতেও। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হলে তা অন্তত কিছু ক্রিকেট দেখার সুযোগ করে দেবে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আপোষ করা উচিত হবে না।”
এ মাসের শুরুতে একইরকম কথা বলেছিলেন মিসবাহ। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ সাল পার হলেও নতুন সূচিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক।
“টুর্নামেন্টের (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ) সময় বাড়ানো উচিত, এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। ভারসাম্য রেখে আসরটি শেষ করার এটাই একমাত্র উপায়। টুর্নামেন্টের সময় বাড়ানো হলে ম্যাচগুলোর সূচি পুনরায় করা যাবে।”