২০১৮ সালে ঘটনাটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে, তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, পকেট থেকে হলুদ এক টুকরো কাপড়ের মতো কিছু (পরে জানা যায় সেটি ছিল শিরিষ কাগজ) বের করে বলে ঘষতে চেয়েছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। পরে সেটি লুকিয়ে রাখেন ট্রাউজারের ভেতর।
দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট। তখন স্মিথের দাবি ছিল, দলের লিডারশিপ গ্রুপ লাঞ্চ বিরতির সময় টেম্পারিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তবে নিজের আত্মজীবনী ‘গানার: মাই লাইফ ইন ক্রিকেট’-এ গুল্ড দিয়েছেন অন্যরকম তথ্য। সম্প্রতি আম্পায়ারিং থেকে অবসরে যাওয়া গুল্ড লিখেছেন, কেপ টাউন ও জোহানেসবার্গ টেস্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পরই ম্যাচ অফিসিয়ালদের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছিল, প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ানদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক।
গুল্ড লিখেছেন, “আমি কেপ টাউনে যাওয়ার কয়েক দিন আগে গ্যাফানি, যিনি ডারবানে প্রথম টেস্টে তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন এবং পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ম্যাচে ধর্মসেনার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি আমার ফোনে একটি বার্তা পাঠান এবং আমাকে সতর্ক করে দেন যে, ব্যাপারগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।”
“আম্পায়ারিং দলটির সন্দেহ ছিল যে, বলের কন্ডিশন পরিবর্তন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা আগ্রাসীভাবে কাজ করছে। স্বাগতিক ব্রডকাস্টার সুপারস্পোর্টের সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, যদি তাদের কোনো ক্যামেরা ক্রু অস্বাভাবিক কিছু দেখে তাহলে যেন আম্পায়ারদের জানানো হয়।” কেপ টাউন টেস্টের আগেও বল টেম্পারিংয়ের মতো কিছু করা হয়েছে, এমন কথা অবশ্য সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। ওই কাণ্ডের পর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট। শেষ টেস্টের আগে পদত্যাগ করেছিলেন কোচ ড্যারেন লেম্যান। তদন্তে যদিও তার কোনো দোষ পাওয়া যায়নি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস অতীতে বলেছিলেন, কেপ টাউন টেস্টের আগেও অপ্রীতিকর কিছু ঘটার প্রমাণ থাকলে সেটা সামনে আসা উচিত।