ক্লার্কের মন্তব্যের কড়া জবাব পেইনের

আইপিএলের রমরমা চুক্তির কারণে বিরাট কোহলিদের ‘স্লেজ’ করতে ভয় পায় অস্ট্রেলিয়ানরা- মাইকেল ক্লার্কের করা এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন টিম পেইন। সতীর্থদের পক্ষ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ব্যাট-বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যেকোনো মূল্যে জিততে মাঠে নামেন সবাই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 10:51 AM
Updated : 9 April 2020, 10:51 AM

২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জিতে ভারত। সেই সিরিজে পেইনের দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সহজাত খেলার ধরণ দেখা যায়নি। ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির চোখ রাঙ্গানির বিপরীতে কিছুই বলেনি অস্ট্রেলিয়ানরা।

ক্লার্কের মতে, এ কারণেই ২-১ ব্যবধানে ঘরের মাঠে সিরিজ হারতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

বল টেম্পারিং ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল, এরপর তাদের আবারও ছন্দে ফিরে আসার প্রক্রিয়া নিয়ে অ্যামাজন ‘দা টেস্ট’ নামে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে। সেখানেও দেখা গেছে, কোহলির আগ্রাসনের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ানদের চুপ থাকতে।

তবে পেইন জানিয়েছেন, ভারতীয় অধিনায়ককে উস্কে না দেওয়াই ছিল তাদের মূল কৌশল। নীরবে নিজেদের কাজ সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু দলের কেউই কোহলিকে আইপিএলের লোভে ছেড়ে দেয়নি বলে বিশ্বাস এই কিপার-ব্যাটসম্যানের।

“আমার মনে হয়, যার হাতেই বল থাকে কিংবা যখন আমরা ব্যাটিং করি, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ম্যাচ জিততে সর্বাত্মক চেষ্টা করি। আমি নিশ্চিত নই, কে তার (কোহলি) সঙ্গে সহজ ছিল। অবশ্যই একটি বিষয় ছিল যে, আমরা তাকে কোনো ধরনের লড়াইয়ে উস্কে দিতে চাইনি, কারণ সে ওইসময়ই নিজের সেরাটা খেলে।”

“কে জানত এই সিরিজে কি হবে। ডকুমেন্টারিতে (দা টেস্ট) যেমন আমরা সবাই দেখেছি, তখনও কিছু ম্যাচে অনেক উত্তাপ (বাক্য বিনিময়ে) ছিল। আমি নিশ্চিত আমাদের ছেলেরা যখনই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট খেলে, তারা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেয়। আইপিএলের চুক্তি নিয়ে তারা কখনও চিন্তা করে না, যখন তারা বিরাটের বিপক্ষে বোলিং করার জন্য দৌড় দেয়।”

২০১৮ সালের নিউল্যান্ডস কেলেঙ্কারির পর কৌশলে পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। নিজেদের ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি ‘আগ্রাসন’ থেকে কিছুটা সরে এসেছে তারা।

শুরুর দিকে হোঁচট খেলেও এমন ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছে তারা, বিশ্বাস করেন পেইন। ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ ধরে রাখা, পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানো তারই প্রমাণ।

“গত ১২ থেকে ১৮ মাস আমরা যা করেছি, এখনও তাই করছি। এখনও আমরা একে অপরকে সমর্থন করছি, এখনও আমরা যেকোনো অস্ট্রেলিয়ান দলের মতই কঠিন লড়াই করছি। কিন্তু সম্ভবত সময়ের সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি তাতে আমি সত্যিই গর্বিত।”