কোহলির হ্যাটট্রিকের পর উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ স্টোকস

বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ে অবদান। অ্যাশেজে অতিমানবীয় দুটি ইনিংস আর সিরিজ সেরা। দুর্দান্ত একটি বছর কাটানোর দারুণ স্বীকৃতি পেলেন বেন স্টোকস। উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার অব দা ওয়ার্ল্ড’ মনোনীত হয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। আগের টানা তিন বছর এই সম্মান পেয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2020, 09:42 AM
Updated : 8 April 2020, 10:43 AM

ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমান্যাকের ১৫৭তম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। মেয়েদের ক্রিকেটের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ মনোনীত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি।

উইজডেনের সবচেয়ে পুরনো ও সম্মানজনক স্বীকৃতি, বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের মধ্যেও জায়গা পেয়েছেন পেরি। এই তালিকার বাকি চার জন জফ্রা আর্চার, প্যাট কামিন্স, মার্নাস লাবুশেন ও সাইমন হার্মার।

মূলত ইংলিশ গ্রীষ্মে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করাদের বিবেচনা করা হয় উইজডেনের স্বীকৃতিতে।

গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হয়েছিলেন স্টোকস। বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। একটি টেস্টে খেলেছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। স্টোকসকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়ায় সেসব কীর্তিই তুলে ধরলেন উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ।

“স্টোকস কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় এক জীবনের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। প্রথমটি, তার বিস্ময়কর সামর্থ্য ও কিছুটা ভাগ্যের সমন্বয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে। রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের ত্রাতা ছিলেন তিনি, এরপর সুপার ওভারেও রাখেন বড় অবদান।”

“এরপর, অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে হেডিংলিতে খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস, দলের এক উইকেটের জয়ে করেন অপরাজিত ১৩৫।”

পেরি মেয়েদের ক্রিকেটের সেরা হয়েছেন মূলত অ্যাশেজের পারফরম্যান্সেই। মেয়েদের অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টে খেলেন ১১৬ ও ৭৬ রানের দুটি ইনিংস। ওয়ানডে সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। একটি ওয়ানডেতে বল হাতে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।

বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের পারফরম্যান্স মিলিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম মৌসুমে বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন আর্চার। বিশ্বকাপে এই ফাস্ট বোলার নিয়েছিলেন ২০ উইকেটে, অ্যাশেজে চার টেস্ট খেলে ২২টি।

বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল কামিন্স ও লাবুশেনের। অ্যাশেজে পাঁচ টেস্টে ২৯ উইকেট নিয়ে কামিন্স ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন ওভারপ্রতি পাঁচের কম রান দিয়ে। চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্সে ৫০.৪২ গড়ে ৩৫৩ রান করেছিলেন লাবুশেন। তার আগে কাউন্টিতে গ্ল্যামরগনের হয়ে এক হাজার ১১৪ রান করেছিলেন ৬৫.৫২ গড়ে।

হার্মার স্বীকৃতি পেয়েছেন এসেক্সের হয়ে ঘরোয়া মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। ইংল্যান্ডে থিতু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিনার কাউন্টি মৌসুমে নিয়েছিলেন ৮৩ উইকেট, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৭টি। দুটিতেই শিরোপা জিতেছিল এসেক্স।

উল্লেখ্য, উইজডেনের পাঁচ বর্ষসেরায় কাউকে একাধিকবার বিবেচনা করা হয় না।

উইজডেনের ‘লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার ইন দা ওয়ার্ল্ড’ মনোনীত হয়েছেন এবার ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

অ্যালমান্যাকের প্রচ্ছদে অবশ্য এবার জায়গা পাননি সেরার স্বীকৃতি পাওয়া কেউই। প্রচ্ছদে আছে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তটি, সুপার ওভারের শেষ বলে যখন ফিল্ডারের কাছ থেকে পাওয়া বল ধরে মার্টিন গাপটিলকে রান আউট করছেন জস বাটলার। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে ৮০ পাতার বিশেষ অধ্যায় আছে এবারের অ্যালমান্যাকে।