লুইস ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক ও গণিতবিদ। পরিসংখ্যানবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থের সঙ্গে মিলে তিনি এই পদ্ধতি বের করেন। দুজনের নাম মিলিয়ে এটির নাম রাখা হয় ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ পদ্ধতি।
১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি হারারেতে জিম্বাবুয়ে-ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রথম এটির প্রয়োগ হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ১৯৯৯ সালে আইসিসির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে এটি ক্রিকেটের সর্বস্তরে চালু হয়।
এই পদ্ধতির আগে বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে খেলা বাধাগ্রস্ত হলে যে পদ্ধতিতে ফল বের করা হতো, সেটি নিয়ে সমালোচনা ছিল প্রবল। সেখান থেকে ক্রিকেটকে অনেকটাই উদ্ধার করে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি। ভীষণ জটিল এই পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক আছে, তবে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন আরেকটু পরিশীলত করেন এই পদ্ধতিকে। এর পর এটির নাম বদলে হয়ে যায় ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন’ পদ্ধতি, সংক্ষেপে বলা হয় ‘ডিএলএস।’
ক্রিকেট ও গণিতে অবদানের জন্য ডাকওয়ার্থ ও লুইসকে ২০১০ সালে একসঙ্গে ‘এমবিই’ প্রদান করা হয়।