এক দিনে দুই ম্যাচ, সমস্যা নেই মর্গ্যানদের

করোনাভাইরাসের ছোবলে ইংল্যান্ডে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট। খেলা আবার কবে শুরু হবে, তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ইংল্যান্ডের টেস্ট ও সীমিত ওভারের দুই দলকে একই দিনে দেখা যেতে পারে আলাদা মাঠে। তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা দেখছেন না ওয়েন মর্গ্যান। যে কোনো বিকল্প ভাবনা কার্যকর হতে পারে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 02:08 PM
Updated : 1 April 2020, 02:08 PM

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংলিশ গ্রীষ্মের অনেকটাই ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আবার খেলা শুরু হলে সূচির দাবি মেটাতে একই সময়ে মাঠে দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের দুটি (একটি টেস্ট, অন্যটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) দলকে, ইতোমধ্যে জানিয়েছে ইসিবি।

সামনে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা আছে অস্ট্রেলিয়ার। একই দিনে দুই ম্যাচ হলে তাদের সমর্থন থাকবে বলেই জানালেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যান।

“এই ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে প্রতিটি বিকল্পই কার্যকর হতে পারে। অবশ্যই আমার এরকম (এক দিনে দুই ম্যাচ) কিছুর অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। অন্য কারও হয়েছে বলেও মনে হয় না। যত বেশি সম্ভব ক্রিকেট খেলার সুযোগ যদি পাওয়া যায়, তাহলে আমি মনে করি, প্রতিটি খেলোয়াড় তাতে সমর্থন দেবে। আমি তো অবশ্যই।”

তবে চলমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলার কথা আপাতত ভাবতেই পারছেন না গত মাসে প্রথমবারের মতো বাবা হওয়া মর্গ্যান।   

“এই মুহূর্তে সময়গুলো অনিশ্চিত। ভাইরাসটি কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, সংক্রমণ বাড়বে নাকি কমবে, লোকে এসব দেখার অপেক্ষায় আছে। বাস্তবিক অর্থে খেলার কথা আমরা ভাবতেই পারি না, মহামারীর পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কখন আমাদের প্রথম ম্যাচ হবে বা কয়টি ম্যাচ খেলব...। এটা যতটা অদ্ভূতুড়ে বলে মনে হচ্ছে, ততটাই গুরুতর।”

একদিনে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা অবশ্য নতুন কিছু নয় ইংল্যান্ডের জন্য। ১৯৩০ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের দুটি দল একইসঙ্গে টেস্ট খেলেছিল নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে!

নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল ১৯২৬ সালে। নবীন দেশ দুটি তখন খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছিল না। তাদেরকে সহায়তার জন্যই ইংল্যান্ডের দুটি দল একই দিনে খেলেছিল দুনিয়ার দুই প্রান্তে। একই দলের একসঙ্গে দুই ম্যাচ খেলার নজির সেটি ছিল প্রথম, এখনও পর্যন্ত সেটিই শেষ।