‘বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও বড় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই’

বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে বড় কিছু একজন ক্রীড়াবিদদের জীবনে আসে কমই। তবে লড়াই যখন জীবনের, ছাড়িয়ে যায় তা মাঠের সীমানা। যোগিন্দর শর্মা যা উপলব্ধি করছেন ভালোভাবেই। এক সময় অবদান রেখেছেন দেশের বিশ্বকাপ জয়ে। এখন তিনি লড়াই করছেন করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের কাছে নিজের এই অবদান বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে বড়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2020, 12:50 PM
Updated : 31 March 2020, 02:18 PM

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের শেষ সময়ের নায়ক ছিলেন যোগিন্দর। পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ের ম্যাচে শেষ ওভারে তার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। মিসবাহ-উল হককে আউট করে যোগিন্দর দলকে এনে দিয়েছিলেন শিরোপা।

তার বর্তমান পেশার সঙ্গে যোগসূত্র আছে সেই সাফল্যের। দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বীকৃতি হিসেবে হরিয়ানা রাজ্য সরকার তাকে চাকরি দেয় পুলিশে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পরে আর খুব সুবিধা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। অবসর নিয়ে হয়ে যান পুরোদস্তুর পুলিশ।

কভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউনে আছে ভারত। এই সময় মানুষকে বাইরে ভিড় করা থেকে বিরত রাখাসহ নানা দায়িত্ব পালন করছেন যোগিন্দর।

দুই ভূমিকায় তার দায়িত্বের ধরন যদিও পুরোই আলাদা, তুলনা করে তবু এখনকার দায়িত্বকেই এগিয়ে রাখছেন ৩৬ বছর বয়সী যোগিন্দর।

“অবশ্যই এই অবদান অনেক বেশি বড়, কারণ মানুষ তাদের জীবন হারাচ্ছে। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতাও বড় ব্যাপার, কিন্তু এখানে দেশ বাঁচাতে হবে। যদি আমি এখানে ছোট ভূমিকাও পালন করি, সেটিও অনেক বড়।”

খেলোয়াড়ি জীবনের সঙ্গে একটি জায়গায় অবশ্য এখন মিল পাচ্ছেন যোগিন্দর। একসঙ্গে লড়াই করা!

“খেলাটি ধরনই এমন যে, এটি দলীয় খেলা ও কাজ সমন্ন করতে খেলোয়াড়রা সবাই একত্রে চেষ্টা করে। তাই এখন আমাদের একে অন্যকে সাহায্য করতে হবে। সবচেয়ে বড় সাহায্য হচ্ছে ঘরে থাকা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটিই একমাত্র উপায়। ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো, গরিবদের সাহায্য করা। সামাজিক জমায়েতকে না বলা, শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।”

পুরো দেশ লকডাউন করে দিলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ভারতে। এখন পর্যন্ত ১২৫১ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে, মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।