নিউ জিল্যান্ডের হয়ে কনওয়েকে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে কিউইদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
কনওয়ের জন্য ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ এক অনুমতিও দিয়েছে আইসিসি। নিউ জিল্যান্ড চাইলে ২৮ অগাস্টের আগেই তাকে প্রস্তুতি ম্যাচগুলিতে খেলাতে পারে। ১২ অগাস্ট শুরু হওয়ার কথা নিউ জিল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর। কিউইদের ‘এ’ দলের ভারত সফর শুরু হওয়ার কথা ১৫ অগাস্ট। এই দুই সফরেই বিবেচনা করা যাবে তাকে।
১৯৯১ সালে জোহানেসবার্গে জন্ম কনওয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের দ্বিতীয় স্তরে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। শীর্ষ স্তরে যতটুকু সুযোগ মিলেছে, খুব ভালো করতে পারেননি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পাড়ি জমান নিউ জিল্যান্ডে। সেখানে ওয়েলিংটনের হয়ে খেলার সুযোগ পান দ্রুতই। দেশ বদলে ঘুরে যায় তার জীবনের মোড়ও।
ওয়েলিংটনের হয়ে তার পারফরস্যান্স প্রায় অবিশ্বাস্য। ২০১৯-২০ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিন সংস্করণের টুর্নামেন্টে রানের তালিকায় তিনি ছিলেন শীর্ষে। তার নৈপুণ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ‘ডাবল’ জিতেছে ওয়েলিংটন। আগের মৌসুমেও রানের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন দুই সংস্করণের টুর্নামেন্টে।
সব মিলিয়ে ওয়েলিংটনের হয়ে ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭২.৬৩ গড়ে তিনি করেছেন ১৫৯৮ রান। চারটি সেঞ্চুরির মধ্যে আছে গত অক্টোবরে অপরাজিত ৩২৭ রানের এক ইনিংস।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে তার সুযোগ পাওয়াকে নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম বলছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তবে কনওয়ে নিজে এতটা সহজ মনে করছেন না।
“এটা দারুণ ব্যাপার যে নিশ্চিত একটি তারিখ এখন আছে, ২৮ অগাস্ট। এটি মনে করিয়ে দেবে যে কাছাকাছিই আছি। তবে বিবেচিত হওয়া মানেই দলে নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চয়তা নয়।”
“আমি দারুণ খুশি এটি জানতে পেরে (অনুমতি পাওয়ার খবর), তবে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। আশা করি, ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলার সুযোগ পাব আমি। এই মুহূর্তে দলটি দারুণ, বিশ্ব মানের সব ক্রিকেটার আছে এখানে এবং এই দলে জায়গা করে নেওয়া সহজ হবে না।”