জীবনের ইনিংসের পথচলায় আনুষ্ঠানিক হিসাবে সাকিব ৩৩ পূর্ণ করলেন মঙ্গলবার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই তাকে মনে করা হয়েছে দেশের ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ, সেই সম্ভাবনার পথ তিনি পাড়ি দেন দ্রুত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ৫-৬ বছরেই হয়ে ওঠেন দেশের ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা, বাংলাদেশকে উপহার দেন বিশ্বসেরার প্রথম স্বাদ, হয়ে ওঠেন সময়ের সেরা অলরাউন্ডার, ক্রমে হয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা।
অসংখ্য রেকর্ড, অর্জন আর কীর্তিতে ভাস্বর হয়ে উঠেছে তার ক্যারিয়ার। ৩৩তম জন্মদিনে তুলে ধরা হলো ২২ গজে তার উল্লেখযোগ্য ৩৩টি কীর্তি।
১. ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই এক ইনিংসে ৫ উইকেট। এই কৃতিত্ব আছে টেস্ট ইতিহাসে আর কেবল তিন বোলারের, মুত্তিয়া মুরালিধরন, রঙ্গনা হেরাথ ও ডেল স্টেইন।
২. এক টেস্টে সেঞ্চুরি করা ও ১০ উইকেট নেওয়া মাত্র চার ক্রিকেটারের একজন। অন্য তিন জন; অ্যালান ডেভিডসন, ইমরান খান ও ইয়ান বোথাম।
৩. সবচেয়ে কম টেস্ট খেলে তিন হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল।’
৪. সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ‘ডাবল।’
৬. সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে চার হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ এবং পাঁচ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ স্পর্শ।
৭. বাংলাদেশের হয়ে সব সংস্করণেই সবচেয়ে বেশিবার ম্যান অব দা ম্যাচ। টেস্টে ৬ বার, ওয়ানডেতে ২১ বার, টি-টোয়েন্টিতে ৫ বার।
৮. বাংলাদেশের হয়ে সব সংস্করণেই সবচেয়ে বেশিবার ম্যান অব দা সিরিজ। টেস্টে ৫ বার, ওয়ানডে ৫ বার (যৌথভাবে তামিম ইকবালের সঙ্গে), টি-টোয়েন্টিতে ৩ বার।
৯. ওয়ানডেতে ছয় হাজার রান করা ও ২৫০ উইকেট নেওয়া চার অলরাউন্ডারের একজন। অন্য তিন জন হলেন শহিদ আফ্রিদি, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও জ্যাক ক্যালিস।
১০. এক টেস্টে ১০ উইকেট ও অর্ধশতক দুই বার। একাধিকবার এটি করতে পেরেছেন আর কেবল স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (৩ বার)।
১১. বাংলাদেশের হয়ে ২০০ টেস্ট উইকেট শিকারি একমাত্র বোলার (২১০)। দুইয়ে থাকা তাইজুল ইসলাম যোজন যোজন পিছিয়ে ১১৪ উইকেট নিয়ে।
১২. এক ভেন্যুতে একশ ওয়ানডে উইকেট নেওয়া মাত্র তিন বোলারের একজন (মিরপুরে ১১৩ উইকেট)। অন্য দুইজন ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস, শারজাহতে।
১৪. নিজের ৫০তম টেস্টে ফিফটি করা ও ১০ উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার।
১৫. একই টেস্টে ফিফটি করা ও ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ৯ বার। তার চেয়ে বেশিবার পেরেছেন কেবল ইয়ান বোথাম (১১বার)।
১৬. ওয়ানডেতে এক ভেন্যুতে দুই হাজার রান করা ও ১০০ উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে করেছেন দুই হাজার ৪৭২ রান, নিয়েছেন ১১৩ উইকেট।
১৭. বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট, ৯২টি।
১৮. টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস (৯টি)।
১৯. ওয়ানডেতে এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান, ২০১৯ বিশ্বকাপে ৬০৬। (দুইয়ে মুশফিক, একই আসরে ৩৬৭)।
২০. টেস্টে অন্তত ২০ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং গড়।
২১. টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ১০ উইকেট শিকারিদের মধ্যে সেরা ইকোনমি রেট, ওভারপ্রতি ৬.৮১।
২২. ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ৪ উইকেট।
২৩. টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট, ১৮ বার।
২৪. টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচে ১০ উইকেট, যৌথভাবে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ২ বার।
২৬. টেস্টে ৭ম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটির অংশীদার; ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৪৫ রান।
২৭. ওয়ানডেতে এক ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ১১ রান।
২৮. ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম চার হাজার রান, ১৩৬ ইনিংসে।
২৯. ওয়ানডেতে অন্তত ২০ ইনিংস ব্যাট করা ক্রিকেটারদের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গড়, ৩৭.৮৬।
৩০. টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম জুটির অংশীদার। দুটিতেই সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। টেস্টে দুজনের জুটির রান দুই হাজার ৪৫৪, ওয়ানডেতে তিন হাজার ৯৪ রান।
৩১. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শতরানের জুটিতে অংশীদারিত্ব। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ১১টি সেঞ্চুরি জুটি।
৩২. ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের টানা চার আসরে দলের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান।
৩৩. ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে এক আসরের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১১ উইকেট। এক বিশ্বকাপে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানই নেই আর কারও।