যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘আইসোলেটেড’ সাকিব

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি একটি হোটেলে গিয়ে উঠেছেন তিনি। স্বেচ্ছায় আলাদা করে রেখেছেন নিজেকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2020, 04:21 PM
Updated : 21 March 2020, 05:08 PM

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় সাকিব নিজেই জানিয়েছেন এটি।

সাকিবের স্ত্রীর পরিবার থাকে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে স্ত্রী-সন্তান ও পরিজনের সঙ্গে এখনই দেখা না করে নিয়ম মেনে আলাদা আছেন তিনি।

“আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এসে পৌঁছলাম। যদিও প্লেনে সবসময় একটা ভয় কাজ করেছে, একটু হলেও। তার পরও চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন থাকা যায়, নিজেকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমি সোজা একটি হোটেল রুমে উঠেছি।”

“ওদেরকে (পরিবারকে) আমি অবগত করেছি যে এখানে থাকব কিছুদিন। যেহেতু ফ্লাই করে এসেছি, একটু হলেও ঝুঁকি আছে। তাই আমি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি। আমার বাচ্চার সঙ্গেও দেখা করিনি। যদিও এটা আমার জন্য কষ্টের, তার পরও মনে হয়েছে, সামান্য এই ত্যাগটুকু করতে পারলে অনেক দূর এগোতে পারব।”

প্রবাসী যারা বাংলাদেশে এসেছেন, নিজের উদাহরণ দিয়েই সাকিব তাদেরকে অনুরোধ করেছেন, কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলতে।

“যদি কেউ বিদেশ থেকে ফিরে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখতে হবে। আত্মীয়-স্বজন ও বাইরের মানুষ যেন আপনার সঙ্গে এসে দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, যা খুবই জরুরী।”

“যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাদের সবারই ছুটি কম থাকে। তারা চান আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে, ঘোরাফেরা করতে, আড্ডা দিতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে। যেহেতু সময় আমাদের অনুকূলে নয়, আমি সবাইকে অনুরোধ করব নিয়মগুলো মেনে চলতে। সামান্য এই ত্যাগ পারে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ্য রাখতে, নিজেদেরও সুস্থ্য রাখতে। আশা করি সবাই কথাগুলি শুনবেন ও মেনে চলার চেষ্টা করবেন।”

করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে সাধারণ যে নির্দেশনা, সেসবও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব।

“সতর্কতাই পারে আমাদের সুস্থ্য রাখতে, দেশকে সুস্থ্য রাখতে। কিছু সাধারণ পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে আমাদের। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় শিষ্টাচার মেনে চলা, এসব। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, এগুলো জেনে মেনে চলার চেষ্টা করবেন।”

বাংলাদেশে অনেকেই এর মধ্যে খাবার মজুদ করা শুরু করেছেন। তাদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন সাকিব।

“আমি খবরে দেখেছি, অনেকে ৩-৪ বা ৬ মাস পর্যন্ত খাবার সংগ্রহ করছেন। আমার ধারণা, খাবারের ঘাটতি আমাদের কখনোই হবে না ইনশাল্লাহ। আমরা কেউই না খেয়ে মারা যাব না। সবাই ভালো থাকবেন, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না।