হোম কোয়ারেন্টিনে যেমন আছেন সাদমান-মৃত্যুঞ্জয়

অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরে শুরুতে বিশ্রামেই থাকতে হতো। তাই হোম কোয়ারেন্টিনকে আলাদা কিছু মনে হচ্ছে না সাদমান ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। দুই তরুণ ক্রিকেটার দেশের সব মানুষকে অনুরোধ করলেন সতর্ক থাকার।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2020, 11:12 AM
Updated : 20 March 2020, 11:41 AM

বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলামের চোট কব্জিতে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয়ের চোট কাঁধে। গত ১১ মার্চ তাদের অস্ত্রোপচার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। দেশে ফেরার পর নির্দেশনা মেনে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী আছেন দুজনই।

দুই ক্রিকেটারের অস্ত্রোপচারের সময় মেলবোর্নে তাদের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। দেশে ফিরে তিনিও আছেন হোম কোয়ারেন্টিনে।

কব্জির চোটের জন্য সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে যেতে পারেননি ওপেনার সাদমান। খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা মিস করবেন জানাই ছিল। এক রাউন্ড হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে লিগ।

খুব বেশি হয়তো ক্রিকেট মিস করতে হবে না সাদমানকে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এই তরুণের আশা, দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিস্থিতি।

“বিসিবি থেকে কোথাও যেতে না করেছে। কোথাও যাইওনি। আপাতত বের হবো না। ১৪ দিন বাসাতেই থাকব। আশা করি, এই সমস্যা কেটে যাবে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।”

যুব বিশ্বকাপে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। শিরোপা জিতে দেশে ফেরা সতীর্থদের বরণ করতে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। অস্ত্রোপচারের পর এখন মাঠে ফেরার অপেক্ষায় এই তরুণ অলরাউন্ডার।

“ডাক্তার বলেছেন, সব ঠিক আছে। পুনর্বাসন শেষে খেলায় ফিরতে চার মাসের মতো লাগবে। অস্ত্রোপচারের পর আমার এমনিতেও বাসায়, রুমেই থাকতে হতো। বাইরে যেতে পারতাম না। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা নিয়ে আলাদা কিছু মনে হচ্ছে না।”

“প্রথম দুই সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর স্বাভাবিক হাঁটা-চলা করতে পারব। তারপর শুরু হবে অনুশীলন। এভাবে ১২ সপ্তাহ যাওয়ার পরে মাঠে ফিরতে পারব।”