তাইবুরের বীরত্বের পর রেজাউরের ঝলক

নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল জুনায়েদ সিদ্দিকের সামনে। ৩ বলে মেলাতে হতো ৯ রানের সমীকরণ। পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তাইবুর রহমানের লড়াকু সেঞ্চুরির পর রেজাউর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে হারতে বসা ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2020, 11:47 AM
Updated : 15 March 2020, 12:54 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী দিনে ৮ রানে জিতেছে মার্শাল আইয়ুবের দল। ২৩৮ রান তাড়ায় দুই বল বাকি থাকতে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে ব্রাদার্স।

৯৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাইবুর।

মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি জুনায়েদ। ১২৫ বলে খেলা তার ৯৭ রানের ইনিংস গড়া ৬ চারে। তাকে এলবিডব্লিউ করে থামানো রেজাউর ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের।

২৯ বলে চার রান করে ফিরেন সাইফ হাসান। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি ফজলে মাহমুদ। থিতু হয়ে বিদায় নেন ইমরানউজ্জামান ও অধিনায়ক মার্শাল।

৩১তম ওভারে ১০০ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়া দোলশ্বরকে আড়াইশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান তাইবুর। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে মেলে কিছুটা সহায়তা। হিট উইকেট হওয়ার আগে এনামুল হক জুনিয়র একটি করে ছক্কা ও চারে ১৭ বলে করেন ২৩ রান।

শেষ ওভারে সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। মোহাম্মদ শাহজাদার সেই ওভারে ঝড় তুলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তাইবুর। সেই ওভার থেকে আসে ২০ রান। 

রান তাড়ায় রেজাউরের ছোবলে শুরুতে চাপে পড়ে যায় ব্রাদার্স। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টানেন জুনায়েদ ও তুষার ইমরান। শুরুতে একটু সময় নেওয়া তুষারের ব্যাটে বাড়ে রানের গতি।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর যেতে পারেননি বেশিদূর। অফ স্পিনার শরিফউল্লাহর বলে ফিরেন এলবিডব্লিউ হয়ে। ভাঙে ৯২ রানের জুটি। ৬৩ বলে খেলা তুষারের ৫১ রানের ইনিংস গড়া তিন চার ও দুই ছক্কায়। পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান আব্দুল কাইয়ুমও।

জাহিদউজ্জামানকে বেশিক্ষণ টিককে দেননি শামীম হোসেন। ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়া ব্রাদার্সকে কক্ষপথে ফেরান জুনায়েদ ও রাহাতুল ফেরদৌস। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫৮ রানের জুটি।

৫ উইকেটে ১৯৪ রান, ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান। ম্যাচ তখন হেলে ছিল ব্রাদার্সের দিকে। ৫ উইকেট হাতে নিয়েও ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ব্রাদার্স।   

সাইফের অফ স্পিনে রাহাতুলের বিদায়ের পর শাহজাদা ও আলাউদ্দিন বাবু দ্রুত ফিরলে ম্যাচে ফিরে দোলেশ্বর।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ব্রাদার্সের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। রেজাউরের দারুণ বোলিংয়ে ১ রান যোগ করতেই শেষ ২ উইকেট হারায় দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম দোলেশ্বের: ৫০ ওভারে ২৩৮/৭ (সাইফ ৪, ইমরান ৩৪, মাহমুদ ৬, মার্শাল ২৬, তাইবুর ১১০*, শরিফউল্লাহ ১৩, শামীম ৪, এনামুল জুনিয়র ২৩, রাব্বি ২*; বাবু ৯-১-৩৫-১, রাহাতুল ৯-০-৩৭-১, নাঈম জুনিয়র ৭-০-২৩-০, সাকলাইন ৭-১-২৭-২, শাহজাদা ৮-০-৬১-০, মাইশুকুর ৫-০-১৯-১, কাইয়ুম, ৫-০-৩২-১)

ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৯.৪ ওভারে ২৩০ (মিজানুর ১৭, জুনায়েদ ৯৭, মাইশুকুর ৩, তুষার ৫১, কাইয়ুম ০, জাহিদ ৪, রাহাতুল ৩১, শাহজাদা ১৩, বাবু ২, নাঈম জুনিয়র ১, সাকলাইন ০*; রাব্বি ৮-০-৫৫-১, শামীম ১০-০-৩৫-১, রেজাউর ৯.৪-০-৩৬-৪, শরিফউল্লাহ ১০-০-৪৭-২, রায়হান ৫-০-২৭-০, এনামুল জুনিয়র ৩-০-১২-০, সাইফ ৪-০-১৫-১)

ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৮ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: তাইবুর রহমান