ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে চলছে দলগুলির অনুশীলন। দিনজুড়ে সেখানে যেন মেলা বসেছে ক্রিকেটারদের। একসঙ্গেই অনুশীলনে থাকেন প্রায় ৭০-৮০ জন ক্রিকেটার। তাদের কুশল বিনিময় চলছিল এভাবেই। কনুইয়ের সঙ্গে কনুই মেলাচ্ছিলেন কেউ, অনেকে আবার মুষ্টিবদ্ধ হাত বাড়িয়ে টোকা দিচ্ছিলেন আলতো করে। অভ্যাসবশত হ্যান্ডশেক করার পর কেউ কেউ এমন ভঙ্গি করছিলেন, যেন হয়ে গেছে মস্ত বড় ভুল!
সবই করোনাভাইরাসের প্রভাবে সতর্ক থাকার প্রয়াস। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন লিগ, খেলা, টুর্নামেন্ট বন্ধ কিংবা স্থগিত হয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পিছিয়ে দিয়েছে মুজিববর্ষের টি-টোয়েন্টি ও কনসার্ট।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ অবশ্য শুরু হচ্ছে সময়মতোই। রোববার থেকে মিরপুর, ফতুল্লা ও বিকেএসপিতে হবে লিগের খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমনিতেই দর্শক খুব বেশি হয় না। এবার আরও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে দর্শকদের। তাই লিগের খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তেমন দেখছে না বিসিবি।
তবে ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে করমর্দনের ক্ষেত্রে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানালেন, বোর্ডের মেডিকেল টিমও প্রস্তুত থাকবে যে কোনো প্রয়োজনে।
“এর বাইরে হ্যান্ডসেকের যে রীতি আছে, সেটা কিভাবে কমানো যায়…আমরা যেহেতু অভ্যস্ত হয়ে গেছি এটায়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সবদিক বিবেচনা করে আমরা নিরুৎসাহিত করছি হ্যান্ডশেক করতে।”
শনিবার বিকেলেই সবগুলি ক্লাবের কোচ, অধিনায়ক ও ম্যানেজারদের সঙ্গে সভায় বিস্তারিত সবকিছু বলে দেওয়ার কথা বিসিবির পক্ষ থেকে।
বিসিবির নির্দেশনার বাইরেও ক্রিকেটাররা সতর্ক ব্যক্তিগতভাবে। মাত্র কদিন আগে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পাওয়া তামিম লিগে নেতৃত্ব দেবেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। জানিয়ে দিলেন, করমর্দনের বিকল্প ব্যবহার করবেন তিনি।
“হ্যান্ডশেক যত কম করা যায়…সত্যি কথা। আমাদের সংস্কৃতিতে এটা শুনতে খুব বেশি লোক হয়ত পছন্দ করবে না। কিন্তু পরিস্থিতিই এরকম…হ্যান্ডশেকের আরও অন্য উপায় আছে। আমরা এলবোশেক করব হয়তো…।”