২০০৫ সালে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শুরু হয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মুশফিকের পথচলা। ততদিনে অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলে ফেলেছেন লর্ডসে। পরে একই ক্লাবের হয়ে লিগে খেলেন ২০০৭ সালেও। ২০০৮ সালে নিজের সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির হয়ে খেলেন। সুপার লিগে তুলেছিলেন দলকে।
এরপর খেলেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবে, বিমানে খেলেন টানা দুই মৌসুম, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে দুই মৌসুম, প্রাইম দোলেশ্বর, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব হয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে দুই মৌসুম। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্মও করে আসছেন প্রায় নিয়মিত। কিন্তু আবাহনীতে খেলা হয়ে উঠছিল না। এবার দুই পক্ষ মিলতে পেরেছে এক বিন্দুতে।
পারফর্মার মুশফিককে দলে পেতে আবাহনীর আগ্রহ যেমন ছিল, মুশফিকও হয়তো মরিয়া ট্রফি জিততে। প্রিমিয়ার লিগে কখনও শিরোপার স্বাদ পাননি তিনি। এবার তাই এসেছেন লিগের সফলতম ক্লাবে।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও তারকার হাট বসিয়েছে আবাহনী। দলে আছেন লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদি হাসান রানা, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আরাফাত সানির মতো ক্রিকেটাররা। তবে কোচ খালেদ মাহমুদের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকের ওপরই।
“মুশফিক দলে আসায় আমরা অনেক আনন্দিত। মুশফিকের মতো একজন, যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। আমি মনে করি, ওর একাগ্রতা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে। সে যে অধিনায়ক, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কাল রাতে ম্যাচ খেলল। আজ সকালে অনুশীলনে চলে এসেছে, এটাও ওর আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা বুঝিয়ে দেয়। নিবেদন কতটুকু আছে, সেটিও ফুটিয়ে তোলে।”
সবশেষ দুই মৌসুমে মাশরাফি বিন মুর্তজা দলে থাকলেও আবাহনীকে নেতৃত্ব দেন নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন। আবাহনী জেতে শিরোপা। আনুষ্ঠানিক দায়িত্বে না থাকলেও ছায়া অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিই ছিলেন।
এবার সেই ছায়া নেই। মুশফিককেই সামলাতে হবে দায়িত্ব। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা খুব ভালো নয়। অধরা ট্রফি এবার ধরতে পারলে ঘুচে যাবে নেতৃত্বে সাফল্যের আক্ষেপও। সব মিলিয়ে এই লিগে তাকে ঘিরে থাকবে বড় কৌতূহল।
রোববার লিগের উদ্বোধনী দিনেই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্সের মুখোমুখি হবে মুশফিকের আবাহনী।