একমাত্র টেস্টে করেছিলেন ৫৩। প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরের ম্যাচে ৯। তৃতীয় ম্যাচে খেলেন বাংলাদেশের রেকর্ড ১৭৬ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতেও ধরে রাখেন ছন্দ। প্রথম ম্যাচে ৫৯, পরেরটিতে অপরাজিত ৬০। সব মিলিয়ে ৪৮৩ রান।
তামিম ইকবালের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডেতে জিতেছিলেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে পেলেন এককভাবে। সিরিজ শুরুর আগে এতো রান করার কথা ভেবেছিলেন লিটন?
“এটা তো বলা মুশকিল। এত রান করার প্রত্যাশা ছিল না। টি-টোয়েন্টি যেটা হয়েছে, এটা আশা করাই যায় যে, পঞ্চাশ মারবে।”
“আজকের ম্যাচটার কথা যদি বলি, অনেক সহজ ছিল। ব্যাটিং করাটা সহজ বলবো না। প্রতিটা বলই তো চ্যালেঞ্জিং। যে কোনো সময়ে আউট হতে পারি। তবে কোনো চাপ ছিল না। রানের যে তাড়াহুড়া সেটা ছিল না। সেদিক থেকে হিসাব করলে, আজকের ম্যাচটা আমার ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক সহজ ছিল। সব মিলিয়ে ভালো গেছে।”
এর আগে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে লিটনের প্রতিভার ঝলক। বেশিরভাগ সময়ে সেগুলো থমকে গেছে একটা দুইটা পারফরম্যান্সে। এক সংস্করণ থেকে আরেক সংস্করণে ছন্দটা টেনে নিতে পেরেছেন কমই। এবার কীভাবে পারলেন লিটন শোনালেন সেই গল্প।
“এর আগেও আমি পারফরম করেছি। একটা ম্যাচ খেলার পর হয়তো আমি বেশি রিল্যাক্সড হয়ে যেতাম। মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেত, ‘একটা ম্যাচে তো রান করেছি, যে কারণে পরের ম্যাচে মনে হয় রান হয়ে যাবে।’ এই পুরো সিরিজটাতে আমি চিন্তা করেছি, প্রতিটা দিন, একটা নতুন ম্যাচ। একটা বলই আউট হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।”
“আমি প্রতিটা বলে অনেক বেশি ফোকাসড ছিলাম। যে কারণে আমার শট নির্বাচন থেকে শুরু করে (সব ঠিকঠাক ছিল)। খুব যে উপর দিয়ে মেরে খেলেছি এই সিরিজে তাও কিন্তু না। বলের মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। মনোযোগ একটু বেশি ছিল, যার কারণে এই ফল।”