গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন সৌম্য। ছুটিতে থাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের দলে ছিলেন না। তৃতীয় ম্যাচে দলে এলেও ফেরা হয়নি একাদশে। টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরলেন মাঠে। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে দলকে জেতালেন, পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
৩২ বলে পাঁচ ছক্কা ও চারটি চারে অপরাজিত ৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা সৌম্য সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্যাটিংয়ে নামার আগেই জেনেছিলেন, এসেছেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।
“সত্যি কথা বলতে না, (কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে) ওভাবে চিন্তা করিনি। চিন্তায় ছিলাম, বিয়ের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। ফোকাসড বেশি ছিলাম। ওই জিনিসটাতো আমার হাতে নেই, চাইলেও তো আমি পরিবর্তন করতে পারব না।”
বিসিবি গত রোববার কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে। ১৬ জনের তালিকায় ছিল না সৌম্যর নাম। গত বছরও ছিলেন না। তবে ২০১৯ সালের পারফরম্যান্সে তার থাকাটাই স্বাভাবিক। তাকে না রাখার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় অবাক করা তথ্য। তালিকা কাটছাঁট করতে গিয়ে বাদ পড়ে গিয়েছিল সৌম্যর নাম!
নাম না থাকায় কী চাকরি না থাকার অনুভূতি হয়েছিল সৌম্যর? “না (হাসি)। ব্যাটিংয়ের আগেই জেনেছিলাম, এসেছি।”
লিটন দাস বলেছিলেন, বিয়ের পর খুলেছে মাথা। আরও পরিণত হয়েছেন। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে তার ব্যাটিংয়ে। এমন পরিবর্তন কী সৌম্যরও হবে?
“কয়দিনই হলো মাত্র। একটা ম্যাচ খেললাম। পরিবর্তন হবে যে এটা বোঝা যাচ্ছে।”