আয়ারল্যান্ডের মূল ভেন্যুগুলোর একটি, ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে বলেই মূলত বিপাকে পড়েছিল আইরিশ বোর্ড। পাশপাশি আইরিশদের রয়েছে ব্যস্ত সূচি। আইসিসি মানের মাত্র ১২টি পিচ আছে আয়ারল্যান্ডের অন্য তিন ভেন্যু মালাহাইড, স্টরমন্ট ও ব্রেডিতে।
এই প্রথম নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজন করছে আয়ারল্যান্ড। আর গত এক দশকে প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে পূর্ণ সদস্য দুই দল। সবশেষ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে এবং দুটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলেছিল পাকিস্তান।
ব্রিস্টলে বাংলাদেশের রয়েছে দারুণ স্মৃতি। ২০১০ সালে এই মাঠেই ইংল্যান্ডকে প্রথমবার ওয়ানডেতে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়ে হেরেছিলেন সাকিব-মাশরাফিরা।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটি আর্থিক সঙ্কটের কারণে আগেই বাতিল করেছে আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ম্যাচের জায়গায় বাড়ানো হয় টি-টোয়েন্টি। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রূপ নিয়েছে চার ম্যাচের সিরিজে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সূচি অবশ্য আগেই চূড়ান্ত করেছিল ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। আগামী ১৪, ১৬ ও ১৯ মে ম্যাচ তিনটি হবে বেলফাস্টের স্টরমন্টে সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে। এই মাঠে ২০১০ সালে দুটি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ, ২০১২ সালে খেলেছিল তিনটি টি-টোয়েন্টি।
ওয়ানডের পর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী ২২ মে প্রথম ম্যাচ হবে ওভালে। ২৪ মে চেমসফোর্ড, ২৭ মে ব্রিস্টল ও ২৯ মে এজবাস্টনে হবে বাকি তিনটি ম্যাচ।