২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের মাঝপথ থেকে মাহমুদউল্লাহকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলেন সেই সময়ের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। মাশরাফি বিন মুর্তজার চাওয়ায় বিসিবি প্রধানের হস্তক্ষেপে দলের সঙ্গেই থেকে যান মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে এনে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত জয়।
ক্যারিয়ারে কঠিন সময় কম আসেনি মাহমুদউল্লাহর। খারাপ সময়ে অনিশ্চয়তা একজন ক্রিকেটারের কাজ আরও কত কঠিন করে দেয় জানেন। তাই সতীর্থদের রাখতে চান নির্ভার। দিতে চান নিজের মতো করে খেলার স্বাধীনতা।
“আমি সবসময় যেটা বিশ্বাস করি, প্লেয়ারদের কাছ থেকে ওই বিশ্বস্ততা পেতে হবে। ওরাও যেন অধিনায়ক হিসেবে আমাকে বিশ্বাস করতে পারে। কারণ, টি টোয়ন্টি সংস্করণটা এমন যে, এক-দুইটা ম্যাচ হয়তো খারাপ হতে পারে। তার মানে এই না, সে অনিশ্চয়তা বোধ করবে।”
একজন অধিনায়কের কর্তৃত্বও গুরুত্বপূর্ণ। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে, একজন সতীর্থকে আগলে রাখতে এর বিকল্প দেখেন না মাহমুদউল্লাহ।
“সত্যি বলতে আমার মনে হয়, যে অধিনায়ক হবে তার ওই কর্তৃত্ব নেওয়া উচিত। দলের প্রতি বিশ্বাসটা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। যেন প্লেয়াররা অনুভব করে অধিনায়কের, কোচের ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্টটা আছে। আমার মনে হয়, এটা প্লেয়ারদের পারফরম করতে সাহায্য করে।”
“অনেক সময় পরিস্থিতির জন্য ব্যাটিং করার সুযোগও কম থাকে। আমি অধিনায়ক হিসেবে এগুলো বিবেচনা করব এবং চেষ্টা করব আমার তরফ থেকে ওই সমর্থনটা যেন ক্রিকেটাররা পায়।”