ভারতের ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই ওপেনার শনিবার ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার কথা জানান।
২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট অভিষেক হওয়া জাফর এই সংস্করণে খেলেছেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। দেশের হয়ে ৩১ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ১১ হাফ সেঞ্চুরিতে করেন প্রায় দুই হাজার রান।
টেস্ট অভিষেকের ৬ বছর পর ওয়ানডে অভিষেক হয় জাফরের। এই সংস্করণে খেলতে পেরেছেন কেবল ২ ম্যাচ।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯১ সেঞ্চুরি ও ৫৭ ফিফটিতে ১৯ হাজার ৪১০ রানের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি রান করেছেন রঞ্জি ট্রফিতে। যা এই টুর্নামেন্টের রেকর্ড।
ভারতের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাফরের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল চার জনের।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলেছেন ১১৮ ম্যাচ, করেছেন ৪ হাজার ৮৪৯ রান। জাফরের নামের পাশে আছে ১০ সেঞ্চুরি ও ৩৩ ফিফটি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে খেলেছেন জাফর। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ১০ ম্যাচে ৪৮.৩৩ গড়ে ৪ ফিফটিতে করেন ৪৩৫ রান।
খেলার পাশপাশি দলের ক্রিকেটারদের ব্যাটিং পরামর্শকের ভুমিকাও পালন করেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। সে সময় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেছিলেন, জাফরের কিছু পরামর্শ তার কাজে লেগেছে।
এরপর বিসিবির এইচপি দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জাফর।