হাথুরুসিংহেকে এগিয়ে রাখছেন মাশরাফি

জাতীয় দলে অনেক কোচ পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন নিবিড়ভাবে। তাদের মধ্য থেকে চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে এগিয়ে রাখলেন বিদায়ী অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2020, 08:01 AM
Updated : 7 March 2020, 08:01 AM

২০০৯ সালে মাশরাফি যখন প্রথম নেতৃত্ব পান, তখন বাংলাদেশের কোচ ছিলেন জেমি সিডন্স। ২০১৪ সালে আবার যখন নেতৃত্বে ফেরেন, তখন ছিলেন হাথুরুসিংহে। ক্রিকেটে অবদান রাখার দিক থেকে এই দুই কোচকেই এগিয়ে রাখছেন মাশরাফি।

“বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল। আমি মনে করি যে, প্রত্যেক কোচেরই ওই সামর্থ্যটা আছে। তবে এর ভেতরেও কিছু বিশেষত্ব তো থাকেই।”

“হাথুরুসিংহেকে আমি প্রথমে রাখব। হাথুরুসিংহের কথা এই জন্য বলব, হাথুরুসিংহে একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে এসেছেন। আমি জেমি সিডন্সের কথা সব সময় বলে আসছি, ব্যাটিং কোচ। আজকের সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদদের তৈরি হওয়ার পেছনে সিডন্সের সবচেয়ে বড় অবদান। এটা হয়তো ওরাও বারবার আপনাদের সামনে বলেছে।”

এই কোচদের হাত ধরে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে আজ একটা পর্যায়ে এসেছে। যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ কম, সেখানে সাফল্যের দাবি বেশি। মাশরাফি মনে করেন, এই ব্যাপারটায় কোচদের বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

“এখন আমাদের পরীক্ষা করার সময় না, এখন ফল আনার সময়। যে-ই বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসুক, তিনি যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন তাহলে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো হবে না। যদি নির্দিষ্ট দুয়েকটা জায়গা থাকে, সেটা হতে পারে, এটা স্বাভাবিকও।”

“হাথুরুসিংহে যেখানে রেখে গেছে সেখান থেকে আমরা কোথায় যাই, সেটা কিন্তু দেখার বিষয়। ২০১৯ পর্যন্ত আমাদের একটা পর্যায় গেছে। বিশ্বকাপে আর একটা ম্যাচ জিতলে হয়তো আমরা পাঁচে থাকতাম। এই একটা ম্যাচ অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।”

ঢালাও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিপক্ষে মাশরাফির অবস্থান। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, এতে সবচেয়ে বড় মাশুলটা দিতে হয় ক্রিকেটারদেরই।

“৬-৮ কিংবা ১০ মাস সময় দিতে পারবেন না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। এই দলকে আমি দুই বছর ধরে তৈরি করব। দুই বছর পর আবার নতুন একজন আসবে, তার মতো করে পরীক্ষা চালাবে। এটা করার মতো জায়গায় বাংলাদেশ ক্রিকেট আর নেই।”

“পরীক্ষা-নিরীক্ষার নেতিবাচক ফলটা ক্রিকেটারদেরই বহন করতে হয়। যদি নেতিবাচক কিছু হয়ে যায়, আপনাদের সামনে এসে কৈফিয়ত আমাদেরই দিতে হবে আর বাংলাদেশের ক্রিকেট নিচের দিকে চলে যাবে। পরীক্ষা করা ভালো। তবে নিশ্চিত করতে হবে, এর ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন পিছিয়ে না যায়। যেখানে আছি সেখান থেকে কতটুকু এগোচ্ছি, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”