হাল ছাড়ার ভাবনা নেই প্রতিকূলতাকে ভালোবাসা মাশরাফির

হাল ছাড়া কাকে বলে জানেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। বরং বড় বড় ধাক্কা সামলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় আছে তার প্রমাণ। ছোট-বড় অসংখ্য চোট থামিয়ে দিতে পারেনি তাকে। দুই হাঁটুতে সাতটি বড় অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে ১৯ বছর ধরে খেলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আরেকটি পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে দেশের সফলতম ওয়ানডে বোলার। এখানে থামবেন? মনে করিয়ে দিলেন, হাল ছাড়া তার রক্তেই নেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2020, 03:13 PM
Updated : 5 March 2020, 03:24 PM

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে শেষ হচ্ছে মাশরাফির নেতৃত্ব। এক ম্যাচ পর থেকে আর অধিনায়ক থাকবেন না। টিম লিস্টে সবার আগে লেখা হবে না মাশরাফির নাম। লড়াই করে জায়গা পেতে হবে। মাশরাফি মনে করিয়ে দিলেন, তার জীবন দর্শনই লড়াই চালিয়ে যাওয়া।

“আপনি ঘুম থেকে উঠলেন। খুব সুন্দরভাবে আপনার সামনে নাস্তা রাখা হলো। আপনি আবার বিছানায় শুয়ে থাকলেন, টিভি দেখলেন। দুপুরের খাবারটা রাখা হলো। বিকেলে একটু ঘুরে আসলেন। সন্ধ্যায় আবার নাস্তা দেওয়া হলো, রাতে ডিনার। তাহলে আপনার জীবনের মূল্যটা কি থাকল? কিছুই থাকল না।”

“একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকটা কাজই চ্যালেঞ্জিং। আমি উপভোগ করি, সব যখন বিপক্ষে থাকে তখন। এটাই আমার জীবনের উপভোগ্য অধ্যায়। এবং আমি বিশ্বাস করি, সবকিছু যখন পক্ষে থাকে তখন আমার কাছে মনে হয়, জীবনের মূল্য কিছুই না। সবকিছু যখন আপনার বিরুদ্ধে থাকবে তখন আপনি কতোটা সামনে যেতে পারেন, সেটা আপনার পরিবার বা আপনার সঙ্গে যারা থাকে তাদের জন্য একটা শিক্ষা হতে পারে। খুব আরামের জীবন যাপনের বদলে।”

গত বিশ্বকাপ থেকে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মাশরাফির। চোটের সঙ্গে সংগ্রাম করে খেলছিলেন। এর প্রভাব পড়ছিল তার বোলিংয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিলেছে ছন্দে ফেরার আভাস। বিশ্বকাপের পর থেকে এই সময়টা যেভাবে গেল তাতে সামনের দিনগুলো কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে মাশরাফির জন্য?

“আমি আগেই বলেছি। আমি ঘুম থেকে ওঠার পর রাত পর্যন্ত কোনো আরামের জায়গায় গেলে… চ্যালেঞ্জটা অবশ্যই কঠিন। কঠিন, অবশ্যই কঠিন। কিন্তু আমি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি। তবে আমার মতে, হাল ছেড়ে দেওয়াটা কোনো অপশন হতে পারে না। আমরা এটা মুখে বলি। আসলে কাজে কেউ প্রমাণ করতে চাই না। কঠিন সময় যেতে পারে, তারচেয়েও কঠিন সময় আসতে পারে। হাল ছেড়ে দেওয়া এক জিনিস আর না করা আরেক জিনিস।”