জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন মুশফিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রধান নির্বাচক ও প্রধান কোচ। সেখানে মুশফিককে দেওয়া হয় বোর্ড সভাপতির বার্তা, পাকিস্তান সফরে না গেলে তাকে বাদ দেওয়া হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে।
সেই চাপ দেওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রবল সমালোচনার পর মুশফিককে আর একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডের দিনই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়ে দেন, তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলানো হতে পারে পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য দল। সেক্ষেত্রে মুশফিককে রাখা হবে একাদশের বাইরে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে কেবল একটিই ওয়ানডে, সেটিও প্রায় এক মাস পর। প্রধান নির্বাচকের কথায় তাই প্রশ্নের অবকাশ থেকে যায় যথেষ্টই। মুশফিককে বাইরে রাখার ভাবনা তাই স্রেফ ক্রিকেটীয় বিশ্রাম নয়, একরকম শাস্তি হিসেবেই মনে করা হচ্ছে।
মাশরাফি অধিনায়ক হিসেবে সবসময় দল বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আগলে রেখেছেন ক্রিকেটারদের। কিন্তু এটি তার অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ। অনেক দিন পর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে সময়ের বাস্তবতাও মানতে হচ্ছে তাকে। অনেক সীমাবদ্ধতার ভেতরও মাশরাফি বললেন, এই ধরনের মানসিক চাপে মুশফিককে রাখা উচিত নয়।
“এগুলো টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত, অধিনায়ক দিতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুশফিক এমন একজন খেলোয়াড়, তার কখনো যদি ব্যাড প্যাচও যায়, তারপরও যে পরিমাণ রান সে করেছে, বাংলাদেশের জেতার পেছনে তার অবদান, এসব চিন্তা করতে হবে। যে ছেলেটা পারফর্ম করে আসছে, ১২/১৩ বছর বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, সে যাতে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে না থাকে, খেয়াল রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।”
মুশফিককে নিয়ে গত কয়েকদিনে যা হয়েছে, এসব যে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো বার্তা নয়, সেটিও তুলে ধরলেন মাশরাফি।
“মুশফিককে কিভাবে সামলাবেন? মুশফিককে নিয়ে যদি হাস্যরসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যান, তাহলে তো হলো না। আমরা আমাদের সম্পদ নিয়ে নাড়াচাড়া করছি! তার কাছ থেকে সেরাটা নিয়ে আসতে যে প্রক্রিয়া আছে, সেসব করতে হবে।”