জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের জয় ছিল অধিনায়ক মাশরাফির ৪৯তম জয়। শুক্রবারের ম্যাচে জিতলেই ধরা দেবে ৫০তম জয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের জয় ২৯টি। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে জয় ২৩টি।
বুধবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। মাশরাফিকে পাওয়া গেল টিম হোটেলের লবিতে। সম্ভাব্য মাইলফলকের কথা শুনে কোনো ভাবান্তর দেখা গেল না তার। এসব নিয়ে কথা বলাতেও মনে হলো না খুব একটা আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রথম কারও কীর্তি, এই দেশের ক্রিকেটের বাস্তবতায় বেশ বড় অর্জন, এসব শুনে কেবল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তার ভাবনা জানালেন ছোট্ট করে।
“দেখুন, নিজের কথা বললে, এটি আমার কাছে বিশেষ কিছু নয়। দলের জন্য অবশ্য বড় ব্যাপার, এতগুলি ম্যাচ জিতেছে দল। কিন্তু আমার নিজের জন্য ‘নাথিং।’ পরের ম্যাচ আর সব ম্যাচের মতোই খেলব। জয়ের চেষ্টা করব।”
ব্যক্তিগত মাইলফলক তিনি অবশ্য বরাবরই পাত্তা দেন না। তবে এটি তো কেবল নিজের অর্জনই নয়, দলের সাফল্যের প্রতিফলন, দেশের ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটি যে অনেক বড় অর্জন, সেই উচ্ছ্বাস ফুটে উঠল তামিমের কণ্ঠে।
বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান এই অর্জনকে মনে করছেন দলের সবারই প্রাপ্তি।
“এটি কেবল মাশরাফি ভাইয়ের জন্য নয়, আমাদের সবার জন্য বিশাল এক অর্জন। অধিনায়ক হিসেবে ৫০ জয় খুব সহজ ব্যাপার নয়। একসময় আমাদের কোনো অধিনায়কের জন্য এটি তো অকল্পনীয় ছিল। আমার কাছে মনে হয়, শুধু ৫০ জয়ই নয়, আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টিতে জয় পেয়েছেন মাশরাফি, সাফল্যের হার শতকরা ৫৭.৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে হাবিবুলের সাফল্যের হার ৪২.০২ শতাংশ, সাকিবের ৪৬.৯৩ শতাংশ।