জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয়টি ছিল বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকের ৯৯তম জয়। সিলেটে মঙ্গলবার বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের ম্যাচে মুশফিক স্পর্শ করেছেন ‘সেঞ্চুরি।’
২১৮ ওয়ানডে খেলে মুশফিক পেলেন শততম জয়ের স্বাদ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার পরেই আছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মুশফিকের সেঞ্চুরি ছোঁয়ার দিনেই ৯৮তম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন মাশরাফি, তবে বাংলাদেশের হয়ে জিতেছেন ২১৭ ম্যাচের ৯৬টি। তার বাকি দুটি জয় এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও আছেন শততম জয়ের বেশ কাছে। বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা ক্রিকেটার ২০৬ ওয়ানডে খেলে জয়ের সাক্ষী হয়েছেন ৯৪ ম্যাচে।
মুশফিকের কীর্তির ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হওয়া তামিম ইকবাল ২০৬ ম্যাচে জয় দেখলেন ৮৭টি। ১৮৭ ম্যাচে ৮৪টি জয় মাহমুদউল্লাহর।
বাংলাদেশের হয়ে জয়ের ফিফটি আছে আর কেবল দুই জনের। ১৫৩ ওয়ানডে খেলে আব্দুর রাজ্জাক জয়ী হিসেবে মাঠ ছেড়েছেন ৬২ ম্যাচে, ১৭৫ ম্যাচে ৫৫ বার মোহাম্মদ আশরাফুল।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একশ জয় অবশ্য চমক জাগানিয়া কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি ২৬২ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড আছে রিকি পন্টিংয়ের। দুইশর বেশি ওয়ানডেতে জয়ী দলে ছিলেন আরও ১০ ক্রিকেটার।
কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় মুশফিকের কীর্তি বিশেষ কিছুই। ম্যাচের আগের দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মুশফিক জানিয়েছিলেন একশ জয় নিয়ে তার রোমাঞ্চের কথা।
“একসময় জয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো আমাদের। পরে নিয়মিত জিততে শিখেছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এত লম্বা সময় ধরে খেলতে পারাও বড় ব্যাপার। ফর্ম-ফিটনেস সবকিছু মিলিয়ে এতদিন ধরে খেলা সহজ নয়। সেদিক থেকে অবশ্য নিজেকে আবার সৌভাগ্যবান বলব এবং অবশ্যই এটি বড় প্রাপ্তি।”
এই জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন মুশফিক। ৫০ বলে ছয় চারে খেলেছেন ৫৫ রানের কার্যকর ইনিংস।