‘মুশফিক সরাসরি বলেছে, পাকিস্তানে যাবে না’

পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত জানতে মুশফিকুর রহিমকে ডেকেছিলেন নির্বাচকেরা। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সরাসরি। তবে মুশফিককে কোনো ধরনের চাপ বা হুমকি দেওয়া হয়নি বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন মুশফিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও নির্বাচকেরা। পাকিস্তান সফর নিয়ে কথা হয় সেখানেই।

পাকিস্তানে না গেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়া হবে, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের এই বার্তা প্রধান নির্বাচক মুশফিককে জানান বলে খবর এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

মিনহাজুল অবশ্য সেটি অস্বীকার করলেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক বললেন, শুধু মুশফিকের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছেন তারা।

“আমরা মুশফিককে ডেকেছিলাম, ওর সিদ্ধান্ত জানার জন্য। ও সরাসরি বলে দিয়েছে, যাবে না। এখানেই এটা শেষ হয়ে গিয়েছে। যেসব নিউজের কথা বলছেন (বোর্ড প্রধানের চাপ), আমরাও দেখেছি। এটা ঠিক না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে যাবে কিনা।”

“টেস্ট ম্যাচের পরে কিছু নিউজ দেখেছিলাম। যেখানে এক পত্রিকায় ছিলো যে ও যাবে, আরেকটায় দেখলাম যাবে না। এজন্য ওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞেস করলাম যে যাবে কিনা, সিদ্ধান্ত বদল করে কিনা। টিম ম্যানেজমেন্ট ও আমরা বসেছিলাম, হেড কোচও ছিলো। মুশফিক সরাসরি বলেছে, সে যাবে না।”

জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ওয়ানডে নিয়ে দলের একটি ভাবনার কথাও জানালেন মিনহাজুল। দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেলে, তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলানো হবে পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য দলকে। সেক্ষেত্রে ওই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে মুশফিককে।

“টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে বসে আমরা পরিকল্পনা করেছি যে, যেহেতু পাকিস্তানে একটা ওয়ানডে আছে। তাই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজটা যদি ২-০ হয়ে যায়, তাহলে পাকিস্তানে যে দলটা খেলবে, শেষ ম্যাচের জন্য সেই এগারো জনকে খেলানোর চিন্তাভাবনা করছি।”

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচটির যদিও ঢের বাকি এখনও। ৩ এপ্রিল করাচিতে হবে ম্যাচটি। ৫ এপ্রিল থেকে একই ভেন্যুতে টেস্ট ম্যাচ।