আজকে ছিল আমার দিন: তামিম

ব্যাট হাসছিল না। পাচ্ছিলেন না বড় ইনিংসের দেখা। প্রথম ওয়ানডেতে মন্থর ব্যাটিং নিয়ে হয়েছিল প্রবল সমালোচনা। পরের ম্যাচেই তামিম ইকবাল খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে গড়লেন একাধিক রেকর্ড। বাংলাদেশের ওপেনারের মতে, দিনটি ছিল তার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2020, 11:40 AM
Updated : 3 March 2020, 11:50 AM

সিলেটে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম করেছেন ১৫৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই।

এই ইনিংসের পথে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন সাত হাজার রানের মাইলফলকও। ১৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২৩ ম্যাচ ও ২১ মাস পর ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেন তামিম।

ইনিংস বিরতিতে টিভি সাক্ষাৎকারে তামিম কথা বললেন তার ইনিংস নিয়ে। দুঃসময়ে তার ওপর আস্থা রাখায় কৃতিত্ব দিলেন টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থদের।

“আমি ভালোই ব্যাট করছিলাম। বড় রান পাচ্ছিলাম না। টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দেব আমি। তারা যত্ন নিয়েছে, বিশ্বাস রেখেছে। সতীর্থরা বিশ্বাস রেখেছে।”

“নেটে ব্যাট ভালো করছিলাম। ম্যাচে হচ্ছিল না। জানতাম, কেবল একটি ইনিংসের ব্যাপার। ভালো লাগছে যে হয়েছে।”

প্রথম ম্যাচে ২৪ রান করতে তামিম খেলেছিলেন ৪৩ বল। দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথম আট বলে রান ছিল কেবল ২। পরের বলে বাউন্ডারির পর রান প্রবাহ আর থামেনি। রেকর্ড গড়ার তৃপ্তি অবশ্যই আছে। তবে তামিমের কাছে ইনিংস গড়ার প্রক্রিয়াটাই আসল।

“রেকর্ড ভালো। তবে প্রক্রিয়াই আসল। শুরুতে ভাগ্য ভালো ছিল, কিছু বল প্যাডে লেগেছে। পরে এগিয়ে গেছি ভালোভাবে।”

প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস এবার রান আউট হয়েছিলেন সপ্তম ওভারেই। তিন ওভার পর তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও। লম্বা সময় পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব পড়েছিল তাই তামিমের ওপরই।

তৃতীয় উইকেটে তিনি মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। পরের উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল ১০৬ রানের। তামিম কৃতিত্ব দিলেন দুই সতীর্থকে।

“কাউকে না কাউকে ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হতো। আজকে আমার দিন ছিল। পরে মুশি (মুশফিক) ও রিয়াদ ভাইও (মাহমুদউল্লাহ) খুব ভালো সমর্থন দিয়েছে।”

তামিমের ইনিংসটির সৌজন্যে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে করেছে ৮ উইকেটে ৩২২।