কোহলির বিরল ব্যর্থতার সিরিজ

আধুনিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলি যেন সাফল্যের প্রতিশব্দ। নিজেকে এমন উচ্চতায় তুলে নিয়েছেন, ব্যাট করতে নামলেই ধরা দেয় দারুণ সব রেকর্ড আর অর্জন। ক্রিকেট দুনিয়ার সব প্রান্তেই তার ব্যাটে দেখা যায় রানের জোয়ার। সেই কোহলির ব্যাটে হঠাৎ ভাটার টান। নিউ জিল্যান্ড সফরটি ভারতীয় অধিনায়কের কাটল ভুলে যাওয়ার মতো। পুরো সিরিজে বন্দী থাকলেন বিরল ব্যর্থতার বৃত্তে।

আবু হোসেন পরাগবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2020, 12:38 PM
Updated : 1 March 2020, 12:38 PM

ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টেও ভারত রয়েছে একই পথে। কোহলি বড় রান পাননি কোনো ম্যাচেই।
 
প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ২ ও ১৯। দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসে করেছেন ৩ ও ১৪। চার ইনিংসে ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের মোট রান মাত্র ৩৮। দলের পেসার মোহাম্মদ শামিও করেছেন অধিনায়কের চেয়ে বেশি রান।
 
কমপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কোহলির সবচেয়ে কম রান এটিই। ২০১৭ সালে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে ৪৬ রান ছিল আগের সর্বনিম্ন। সিরিজটা ছিল অবশ্য চার ম্যাচের। চোটের কারণে কোহলি শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি।
 
৯ বছরের ক্যারিয়ারে অন্তত দুই টেস্টের সিরিজে তিনি একশর কম রান করেছেন আর কেবল দুবার। একটি তার অভিষেক সিরিজে, ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে ১৫.২০ গড়ে করেছিলেন ৭৬ রান। ২০১৩ সালে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই দেশের মাটিতে দুই ম্যাচে দলের একটি করে ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছিলেন ৬০।
 
যার ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় পঞ্চাশের ওপরে, সেই কোহলির এবারের নিউ জিল্যান্ড সিরিজে গড় ৯.৫০। দুই ম্যাচের সিরিজে যা তার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ৯.২০ গড় সবচেয়ে কম। ২০১৪ ইংল্যান্ড সফরে গড় ছিল ১৩.৪০। সেবার পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসে করেছিলেন ১৩৪ রান।
 
নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে শেষ চার ইনিংসে কোহলির সেঞ্চুরি ছিল দুটি। যার একটি আবার ডাবল। অথচ নিউ জিল্যান্ডে যেতে পারলেন না বিশেও। সবশেষ তিনি চার বা এর বেশি টানা ইনিংসে ফিফটি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ২০১৭ সালে, টানা সাত ইনিংসে।
 
এই সফরে অন্য দুই সংস্করণেও ভালো করতে পারেননি কোহলি। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫১ করার পর দুই ম্যাচে করেছিলেন ১৫ ও ৯। টি-টোয়েন্টি সিরিজের চার ম্যাচেও ছিল না ফিফটি।

তিন সংস্করণে ১১ ইনিংসে ভারত অধিনায়কের মোট রান ২১৮। কোনো সফরে তিন সংস্করণে খেলে তার সবচেয়ে কম রান এটিই। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে ২৫৪ রান ছিল আগের সর্বনিম্ন।