‘আপনারা মাশরাফিকে বেশি খোঁচাচ্ছেন’

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার এখনও কোনো বিকল্প দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। বোর্ড প্রধানের মতে, অবসর সংক্রান্ত আলোচনায় সংবাদকর্মীরা বেশি বিরক্ত করছেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ককে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2020, 12:15 PM
Updated : 1 March 2020, 01:30 PM

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিসিবি সভাপতি।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রশ্নে, ‘পারফর্ম করাটা আত্মসম্মানের ব্যাপার’, এটি জুড়ে দিতেই মাশরাফি জবাব দিয়েছিলেন কড়া ভাষায়, “আত্মসম্মান বা লজ্জা… আমি কি চুরি করি মাঠে? আমি কি চোর? খেলার সঙ্গে লজ্জা, আত্মসম্মান… এসব আমি মেলাতে পারি না। এত জায়গায় চুরি-চামারি হচ্ছে, তাদের লজ্জা নাই? আমি মাঠে এসে উইকেট না পেলে লজ্জা লাগবে? আমি কি চোর?”

বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রায় ১৯ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে বেশির ভাগটা জুড়ে ছিল তার অবসর প্রসঙ্গ। একই ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে বারবার।

মাশরাফির প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই ঝড় তোলে আলোচনার। রোববার সিলেটে ওয়ানডে ম্যাচের মাঝ বিরতিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বললেন, মাশরাফিকে তারা বিবেচনা করেন আলাদা মানদণ্ডে।

“মাশরাফির যা বলার কথা, তাই বলেছে। আমি সবসময় একটি কথা বলি। খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের কোনো বদলি আমাদের নেই। অধিনায়ক মাশরাফির কোনো বিকল্প নেই। মাশরাফির অবদান কোনোভাবেই খাটো করার কোনো সুযোগ নেই।”

“আপনারা খেয়াল করেছেন, মাশরাফিকে যে পরিমাণে আমরা চেষ্টা করছি সুযোগ দেওয়ার জন্য, সেটা কিন্তু অনেকের বেলায় করিনি। মুশফিককে বাদ ‍দিয়ে যখন মাশরাফিকে অধিনায়ক করি, তখন কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেসও করিনি। মাশরাফির ব্যাপারটা ভিন্ন।”

মাশরাফির অবসর নিয়ে অতি আলোচনার জন্য বিসিবি সভাপতি কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সংবাদকর্মীদের।

“ওর প্রেস কনফারেন্স দেখে মনে হয়েছে, আপনারা ওকে একটু বেশি খোঁচাচ্ছিলেন। এরকম একটা সময়, যখন আপনাদের ওর পাশে থাকা উচিত, সেই জায়গায় মনে হচ্ছে আপনারা ওকে কষ্ট বেশি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব নিয়ে আমাদের আলাপ করা উচিতই নয়। ও বলে দিয়েছে, ও কী চায়।”

“অধিনায়ক কে হবে, সেটি চূড়ান্ত করবে বোর্ড। যখন যাকে মনে হয়, তাকে নির্বাচন করবে। ও কখন অবসর নেবে, সেটা ও ঠিক করবে। তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমার মনে হয় এখানেই শেষ করা উচিত (এই প্রসঙ্গ)।”