ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে লিটন দাস গড়ে দিলেন মঞ্চ। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা রাখলেন অবদান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। পরে বোলিংও ছিল দুর্দান্ত। স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ পেল ১৬৯ রানের জয়। ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2020, 06:43 AM
Updated : 1 March 2020, 02:24 PM

১৬৯ রানের জয়
 
ওয়ানডেতে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই সংস্করণে আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালে ঢাকায় ৩২১ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬৩ রানে।
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ১৪৫ রানে। ২০১৫ সালে ঢাকায় ২৭৩ রানের পুঁজি নিয়ে ওই জয় পেয়েছিল তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৬ (লিটন ১২৬ আহত অবসর, তামিম ২৪, শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মিঠুন ৫০, সাইফ ২৮*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ০*; এমপোফু ১০-০-৬৮-২, মুম্বা ৮-০-৪৫-১, মাধেভেরে ৮-০-৪৮-১, টিরিপানো ৭-০-৫৬-১, রাজা ১০-০-৫৬-০, মুটুমবোদজি ৭-০-৪৭-১)
 
জিম্বাবুয়ে: ৩৯.১ ওভারে ১৫২ (কামুনহুকামউই ১, চিবাবা ১০, চাকাভা ১১, টেইলর ৮, মাধেভেরে ৩৫, রাজা ১৮, মুতুমবামি ১৭, মুটুমবোদজি ২৪, টিরিপানো ২, মুম্বা ১৩, এমপোফু ৯*; মুস্তাফিজ ৬-০-২২-১, সাইফ ৭-০-২২-৩, মাশরাফি ৬.১-০-৩৫-২, তাইজুল ৯-২-২৭-১, মিরাজ ৮-১-৩৩-২, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-১২-০)

অধিনায়ক মাশরাফির শত উইকেট
 
নতুন স্পেলে ফিরে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক হিসেবে তার শততম উইকেটে ৩৯ ওভার ১ বলে ১৫২ রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।
 
টিনোটেন্ডা মুটুমবোদজি ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৪৭ বলে ৩ চারে ২৪ রান করেন মুটুমবোদজি।

সাইফের তৃতীয় শিকার মুম্বা
 
ফেরার ম্যাচটা রাঙিয়ে রাখছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বোলিংয়েও পাচ্ছেন সাফল্য। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন কার্ল মুম্বাকে।
 
একটি করে ছক্কা ও চারে ১২ বলে ১৩ রান করেন মুম্বা। ৩৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৩০/৯। ক্রিজে সবশেষ জুটি।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার টিরিপানো
 
দুর্দান্ত এক রিফ্লেক্স ক্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ পেলেন দ্বিতীয় উইকেট। বেরিয়ে এসে অফ স্পিনারের ওপর চড়াও হয়েছিলেন ডনাল্ড টিরিপানো। প্রতিক্রিয়া দেখানোর খুব বেশি সুযোগ ছিল না। মারে ছিল বেশ জোর। তবুও ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় জমাতে ভুল করেননি মিরাজ।
 
১৩ বলে ২ রান করেন টিরিপানো। ৩৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১০/৮। ক্রিজে টিনোটেন্ডা মুটুমবোদজির সঙ্গী কার্ল মুম্বা।

রান আউট মুতুমবামি
 
ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরলেন রিচমন্ড মুতুমবামি। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো ধরে মুশফিকুর রহিম বেলস ফেলে দেওয়ার সময় বেশ দূরে ছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
 
১৪ বলে দুই ছক্কায় ১৭ রান করেন মুতুমবামি। ৩০ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০৬/৭। ক্রিজে টিনোটেন্ডা মুটুমবোদজির সঙ্গী ডনাল্ড টিরিপানো।

মাধেভেরের প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ
 

অভিষেকে দারুণ ব্যাট করছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তরুণ এই অলরাউন্ডারের প্রতিরোধ ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
 
টানা তিনটি ডট বল খেলার পর অফ স্পিনারকে বেরিয়ে এসে ওড়াতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে। বল যায় সোজা কাভারে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে। খানিক আগে হারানো রেকরর্ডে ভাগ বসান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওয়ানডেতে আউট ফিল্ডে মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ৬১টি করে।  
 
৪৪ বলে পাঁচ চারে ৩৫ রান করেন মাধেভেরে। ২৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮৪/৬। ক্রিজে রিচমন্ড মুতুমবামির সঙ্গী টিনোটেন্ডা মুটুমবোদজি।

মুস্তাফিজের শিকার রাজা
 
আগের ওভারে শর্ট বলে একটা বাউন্ডারি হজম করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরিকল্পনা থেকে সরে যাননি। পরের ওভারে আবার দিলেন বাউন্সার। এবার মিললো সাফল্য। সীমানায় সিকান্দার রাজার চমৎকার ক্যাচ নিলেন মাহমুদউল্লাহ।
 
৩২ বলে দুই চারে ১৮ রান করেন রাজা। ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। এই ক্যাচ নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে (৬০) ছাড়িয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৬১ ক্যাচ নিয়ে ওয়ানডেতে আউটফিল্ডে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ড নিজের করে নিলেন তিনি।
 
২৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮৪/৫। ক্রিজে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী রিচমন্ড মুতুমবামি।

তাইজুলের শিকার টেইলর
 
একটা জুটি গড়ে উঠতে শুরু করেছিল। শুরুতেই সেটাকে থামিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম। বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন বিপজ্জনক ব্রেন্ডন টেইলরকে।
 
বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন টেইলর। স্কিড করা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। এলেমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস।
 
১৫ বলে ৮ রান করেন টেইলর। ভাঙে ২১ রানের জুটি। ১৩.২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪৪/৪।

পাঁচ ম্যাচ পর মাশরাফির উইকেট
 
অধিনায়ককে ফেরালেন অধিনায়ক। ঘোচালেন পাঁচ ম্যাচের উইকেট খরা। নিজের প্রথম ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন খরুচে। পরের ওভারে বিদায় করলেন চামু চিবাবাকে।
 
মাশরাফিকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন চিবাবা। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অন থেকে সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান মাহমুদউল্লাহ।
 
২২ বলে ১ চারে ১০ রান করেন চিবাবা। ৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৭/৩। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গী অভিষিক্ত ওয়েসলি মাধেভেরে।

চিবাবার সফল রিভিউয়ের পর মাশরাফির সফল রিভিউ
 

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেন চামু চিবাবা। পরে মিললো ব্যাটে বল স্পর্শের প্রমাণ। বেঁচে গেলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। সে সময় ৯ রানে ছিলেন তিনি।
 
এক বল পর এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে রেজিস চাকাভাকে ফেরায় বাংলাদেশ। অফ স্টাম্পের বাইরে সুইং করে ভেতরে ঢোকা বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন চাকাভা। ব্যাটে খেলতে পারেননি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে। ১৮ বলে ১১ রান করেন চাকাভা।
 
৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৩/২। ক্রিজে চিবাবার সঙ্গী ব্রেন্ডন টেইলর। 

মুস্তাফিজ-সাইফের আঁটসাঁট বোলিং
 
তিনশ ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ। প্রথম ৫ ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। জিম্বাবুয়ে ১ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে কেবল ১০ রান।
 
মুস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে দিয়েছেন ৭ রান। রিভিউ নিলে প্রথম ওভারেই পেতে পারতেন উইকেট। ডানহাতিদের জন্য কিছু বল ভেতরে ঢুকিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। আরও কার্যকর বোলার হতে এই অস্ত্র খুব দরকার মুস্তাফিজের।
 
দারুণ লাইন-লেংথে বল করে যাওয়া সাইফ ভোগাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। মুভমেন্টের জন্য তাকে খেলতে হিমশিম খাচ্ছেন চামু চিবাবা-রেজিস চাকাভারা।

শুরুতেই সাইফের আঘাত
 

রিভিউ নিলেই টিনাশে কামুনহুকামউইয়ের উইকেট মিলতো প্রথম ওভারে। তবে এ নিয়ে আক্ষেপে পুড়তে হলো না। দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড করে ওপেনারকে বিদায় করলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
 
চোটের জন্য অনেক দিন ছিলেন খেলার বাইরে। তাতে যেন কমেনি সাইফের ধার। শেষ ওভারে তিন ছক্কায় ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন সামর্থ্য। বল হাতে প্রথম ওভারেই পেলেন উইকেট।
 
জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান কামুনহুকামউই। ১০ বলে করেন ১ রান।
 
২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২/১। ক্রিজে চামু চিবাবার সঙ্গী রেজিস চাকাভা।

জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
 
লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ও মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
 
১০৫ বলে ১৩ চার ও দুই ছক্কায় ১২৬ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। মিঠুন ৪১ বলে করেন ৫০। তিনটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে পাওয়া দৃঢ় ভিত কাজে লাগিয়ে শেষটায় ঝড় তোলে স্বাগতিকরা।
 
শেষ ওভারে তিন ছক্কায় ২২ রান নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ১৫ বলে তার ২৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করে বাংলাদেশ। তাদের আগে সেরা ছিল ২০০৯ সালে করা ৩২০।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৬ (লিটন ১২৬ আহত অবসর, তামিম ২৪, শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মিঠুন ৫০, সাইফ ২৮*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ০*; এমপোফু ১০-০-৬৮-২, মুম্বা ৮-০-৪৫-১, মাধেভেরে ৮-০-৪৮-১, টিরিপানো ৭-০-৫৬-১, রাজা ১০-০-৫৬-০, মাটুমবোদজি ৭-০-৪৭-১)

ছক্কার পর শেষ মিরাজ
 
কার্ল মুম্বাকে ছক্কায় ওড়ানোর পর এর পুনরাবৃত্তির চেষ্টায় ফিরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান টিনাশে কামুনহুকামউই।
 
৪ বলে ৭ রান করেন মিরাজ। ৪৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৯৯/৬। ক্রিজে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ফিফটি করেই আউট মিঠুন
 
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। সেই চেষ্টাতেই পেয়ে গেলেন নিজের পঞ্চম ফিফটি। পরের বলেই ফিরে গেলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
 
৪১ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন মিঠুন। ক্রিস এমপোফুর স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বলের লাইন মিস করে থামেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
 
৪৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৮৯/৫। ক্রিজে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।

রিভিউ নিয়ে বিপজ্জনক জুটি ভাঙল জিম্বাবুয়ে
 
এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে মাহমুদউল্লাহকে ফেরাল জিম্বাবুয়ে। ভাঙল ৫৬ বল স্থায়ী ৬৮ রানের জুটি।
 
ক্রিস এমপোফুকে শাফল করে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। স্টাম্প সোজা ফুল লেংথ বল খেলতে পারেননি ব্যাটে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন চামু চিবাবা।
 
বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ৩২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
 
৪৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৭৫/৪। ক্রিজে মিঠুনের সঙ্গী চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

মাহমুদউল্লাহ-মিঠুনের জুটিতে পঞ্চাশ
 

চোট পেয়ে লিটন দাস মাঠ ছাড়ার পর একটু কমেছিল রানের গতি। শুরুতে একটু সময় নেওয়া মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুন শট খেলতে শুরু করেছেন। তাদের জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৪৮ বলে। তাদের ব্যাটে তিনশ রানের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
 
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৬/৩। মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৩১ ও মিঠুন ৩২ বলে ৩২ রানে ব্যাট করছেন।

মাহমুদউল্লাহর ৪ হাজার
 
বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে চার হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মাহমুদউল্লাহ। এতে অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের লেগেছে ১৬১ ইনিংস।
 
বাংলাদেশের হয়ে চার হাজারের বেশি রান আছে আর কেবল তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। এই তিন জনেরই রান ছয় হাজার করে।
 
৩ হাজার ৯৯৪ রান নিয়ে এই ম্যাচ শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়েসলি মাধেভেরেকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্রুতই পৌঁছে যান মাইলফলকে।
 
৩৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২২১/৩। মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুন দুই জনেরই রান ৯ করে।

ঝড় তুলে মাঠ ছাড়লেন লিটন
 
পা বেশ ভোগাচ্ছিল। রান নিতে খোঁড়াচ্ছিলেন। ওয়েসলি মাধেভেরেকে বিশাল ছক্কা হাঁকানোর পর আর পারলেন না। ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়লেন লিটন দাস। এর আগেই অবশ্য ছক্কায় ছাড়িয়ে গেলেন ওয়ানডেতে নিজের আগের সেরা রান।
 
ডনাল্ড টিরিপানোর আগের ওভারে তিনটি চার মারেন লিটন। একবার হেলমেটে বল লাগলেও নড়ে যাননি। মাধেভেরেকে ছক্কায় ওড়ানোর পর মাঠ ছাড়তেই হলো। এ সময় লিটনের রান ১৩ চার ও দুই ছক্কায় ১০৫ বলে ১২৬। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা ভারতের বিপক্ষে ১২১।
 
লিটন মাঠ ছাড়ার আগেই ৩৭তম ওভারে দুইশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৩৭ ওভারে স্কোর ২০৭/৩। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।

লিটনের সেঞ্চুরির পর মুশফিকের বিদায়

শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করা লিটন দাস পেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা। ৪৫ বলে স্পর্শ করেছিলেন ফিফটি, ৯৫ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে।

২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। দুই বছর পর পেলেন আরেকটি।

তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি চার ও একটি ছক্কা।

ডনাল্ড টিরিপানোর ওই ওভারেই কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। থার্ড ম্যানে বল পাঠাতে গিয়ে কিপারকে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ভাঙে ৪২ রানের জুটি।

একমাত্র টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক ২৬ বলে করেন ১৯। ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।

৩৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৮২/৩। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

তামিমের বাজে রিভিউয়ের মাশুল দিলেন শান্ত
 
তামিম ইকবালের বাজে রিভিউয়ের মাশুল দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ভাঙল ৮০ রানের জুটি।
 
লেগ স্পিনার টিনোটেন্ডা মাটুমবোদজির ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি শান্ত। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে ফিরে যেতে হয় এই তরুণকে। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে ইম্প্যাক্ট ছিল স্টাম্পের বাইরে। রিভিউ ছিল না বলে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি শান্ত।
 
নিজের আগের তিন ওয়ানডেতে কেবল ২০ রান করা শান্ত এবার পেয়েছিলেন ভালো শুরু। ফিরে যেতে হলো ৩৮ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৯ রান করে।
 
২৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪১/২। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

লিটন-শান্তর জুটিতে পঞ্চাশ
 

টানা দুটি উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটির চেয়ে দ্রুত রান আসছে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে।
 
শুরুর জুটিতে তামিম ইকবাল ও লিটনের পঞ্চাশ এসেছিল ৬৩ বলে। লিটন ও শান্তর দ্বিতীয় উইকেট জুটির ফিফটি হয়েছে ৪৮ বলে।
 
এক-দুই রান নিয়ে খেলছেন শান্ত। বাউন্ডারিতে এগোচ্ছেন লিটন। জুটিতে অগ্রণী তিনিই।
 
২১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১২/১। লিটন ৬৮ ও শান্ত ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের একশ
 
সাবধানী শুরুর পর রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। একাদশ ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া দলটির স্কোর তিন অঙ্কে গেল ২০তম ওভারে।
 
৬৩ বলে এসেছিল প্রথম পঞ্চাশ, পরের পঞ্চাশ এসেছে ৫২ বলে।
 
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৫/১। ৫৬ বলে ৬২ রানে খেলছেন লিটন দাস। ২১ বলে ১৫ রানে ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত।

লিটনের চতুর্থ ফিফটি
 
শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলা লিটন দাস পেলেন ফিফটির স্বাদ। ওয়ানডেতে তার চতুর্থ ফিফটি এটি।
 
ওয়েসলি মাধেভেরেকে বাউন্ডারি মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান লিটন। ৪৫ বলে ফিফটি করার পথে তার ব্যাট থেকে এসেছে ছয়টি চার ও এক ছক্কা।
 
অফ স্পিনার মাধেভেরেকে সেই ওভারে ছক্কায় উড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
 
১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৭/১। লিটন ৫০ ও শান্ত ১০ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নষ্ট করে ফিরলেন তামিম
 

কার্ল মুম্বার আগের ওভারেই আউট হতে পারতেন। জিম্বাবুয়ে রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে গেলেন। পরের ওভারে আর টিকলেন না তামিম ইকবাল। ওয়েসলি মাধেভেরের বলে ফিরে গেলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
অভিষিক্ত অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার উইকেট পেলেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে। পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দেওয়ার পর রিভিউ নেন তামিম। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে বল আঘাত হানতো লেগ-মিডল স্টাম্পে।
৪৩ বলে দুই চারে ২৪ রান করে ফেরেন তামিম। বাংলাদেশ হারায় রিভিউ। ১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬০/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ
 
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত ওয়েসলি মাধেভেরের বলে তামিমের বাউন্ডারিতে দল ও জুটির রান গেছে পঞ্চাশে।
 
৬৩ বলে এসেছে উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ। ১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫১/০। তামিম ২২ ও লিটন ২৭ রানে ব্যাট করছেন। 

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪৪/০

পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান আসেনি। তবে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি এই সময়ে কোনো উইকেট হারায়নি তারা।

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন লিটন দাস। সাবধানী ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪/০।

তামিম ৩০ বলে খেলছেন ১৪ রানে। তার একমাত্র বাউন্ডারিটি এসেছে দশম ওভারে। রানের চাকা সচল রাখার কাজটা করছেন লিটন। চারটি চারে ২৯ বলে খেলছেন ২৭ রানে।   

মাধেভেরের অভিষেক, নেই আরভিন

যুব বিশ্বকাপ খেলে আসা অলরাউন্ডার ওয়েসলি মাধেভেরের অভিষেক হচ্ছে। অসুস্থতার জন্য নেই ক্রেইগ আরভিন। শন উইলিয়ামস এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি।

জিম্বাবুয়ে: চামু চিবাবা (অধিনায়ক), টিনাশে কামুনহুকামউই, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে, রেজিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুমবামি, টিনোটেন্ডা মাটুমবোদজি, ডনাল্ড টিরিপানো, ক্রিস এমপোফু, কার্ল মুম্বা।

ফিরলেন শান্ত-সাইফ, অপেক্ষায় নাঈম-আফিফ

চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। বিশ্বকাপের পর এই প্রথম খেলছেন তারা। ২০১৮ এশিয়া কাপের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

অভিষেকের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও আফি হোসেনের। 

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

স্বস্তির সন্ধানে বাংলাদেশ
 
সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে শেষ দুই ম্যাচে হার দিয়ে শুরু বাজে সময়ের। এরপর থেকে চলছে দুঃসময়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট জিতে একটু স্বস্তি ফিরেছে। এবার ওয়ানডেতে জয়ে ফেরার হাতছানি মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে।
 
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বেলা একটায়।  
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়কে অনেকে ভাবেন ধরাবাঁধা। সে কারণে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি স্বাগতিকদের সামনে। সিরিজ শুরুর আগেই অনেকে দেখতে শুরু করেছেন ৩-০ ফল! একটা হারে দুঃসময় প্রলম্বিত হতে পারে বাংলাদেশের।
 
সব চোখ মাশরাফির দিকে
 
চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের দিকেই মনোযোগ বেশি। সবশেষ ৫ ম্যাচে কোনো উইকেট না পাওয়া অধিনায়কের সামনে চ্যালেঞ্জ ছন্দে ফেরার। এলোমেলো হয়ে যাওয়া দলকে কক্ষপথে ফেরানোর।