সিলেটের সবুজ উইকেট হয়ে যাবে ন্যাড়া!

উইকেট দেখে বোঝা মুশকিল, সিলেট নাকি ক্রাইস্টচার্চ! শনিবার শুরু হওয়া নিউ জিল্যান্ড-ভারত টেস্টে হ্যাগলি ওভালের উইকেট যেমন সবুজ, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডের আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২২ গজের চেহারাও প্রায় একই। তবে ম্যাচের আগেই সেই সবুজ যাবে মিলিয়ে, উইকেট ফিরে পাবে পরিচিত বাদামী চেহারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকসিলেট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2020, 12:37 PM
Updated : 29 Feb 2020, 12:37 PM

এই মাঠের উইকেট নানা সময়ে দেখা দিয়েছে নানা রূপে। শুরুর দিকে এখানে বাউন্স মিলত বেশ, গতিময়ও ছিল যথেষ্ট। পরে আবার সেই উইকেট হয়ে গেছে মন্থর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই মাঠের অভিষেক টেস্টে উইকেট ছিল বেশ স্পিনসহায়ক। পরের মাসে এখানকার ওয়ানডে অভিষেকে উইকেট ছিল অনেকটা মিরপুরের মতো। মন্থর, বল গ্রিপ করেছে উইকেট।

সেই ২২ গজই এবার ঢেকে আছে ঘাসে। ম্যাচের আগের দিন মাশরাফি বিন মুর্তজাই যেমন মাঠ থেকে আলাদা করতে পারছিলেন না উইকেট। তবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, ঘাস ছাঁটা হবে বলেই জানতে পেরেছেন তারা।

“উইকেটে ঘাস আছে অনেক। তবে কেটে ফেলবে, বলেছে। অনুমান করা কঠিন (আচরণ)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে যখন এখানে খেলেছিলাম, তখন অনেক ধীরগতির ছিল। শিশিরও ছিল। রাতে ব্যাটিং করা একেবারে সহজ ছিল।”

“এখন শিশির কতটা থাকবে…গরম প্রায় চলেই এসেছে। কাল একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাবে। এখন আউটফিল্ড এবং উইকেট মনে হচ্ছে একই। তবে ঘাস কাটবে। কতটুকু কাটবে, দেখা যাক।”

উইকেট নিয়ে একই বার্তা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চামু চিবাবাও।

“কালকে অনুশীলনের সময় উইকেট দেখেছি। অনেক ঘাস ছিল। তবে তারা বলেছে, ঘাস কাটা হবে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কেমন হয়।”

শনিবার বিকেলে জিম্বাবুয়ে দলের অনুশীলনের সময়ই দেখা গেল, সেই ঘাস ছেঁটে ফেলা হলো অনেকটুকু। সকালে ম্যাচের আগে ছাঁটাই প্রক্রিয়া হয়ে যাবে আরেক দফায়।