পাঁচ বছর আগে দায়িত্বটা পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজে অধিনায়কত্বের পথচলা থেমে যেতে পারে। এবার চ্যালেঞ্জও অন্যরকম। তবে দুই সিরিজের পরিস্থিতি মেলাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচের জয়খরা কাটায় বাংলাদেশ। পরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে করে হোয়াইটওয়াশ।
এরপর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ খেলে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে। দেশের মাটিতে টানা ওয়ানডে সিরিজ হারায় পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তাকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলে সেমি-ফাইনালে। সবকিছুতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। অধিনায়ক নিজে বল হাতেও ছিলেন দারুণ।
তার নেতৃত্বেই গত বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো জেতে কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা। কিন্তু বিশ্বকাপটা প্রত্যাশানুযায়ী কাটেনি বাংলাদেশের। অধিনায়কের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও ছিল ভাটার টান। ছিলেন ভীষণ বিবর্ণ। চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন, যার প্রভাব পড়েছে খেলাতে। শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে পাননি কোনো উইকেট।
বিশ্বকাপের পর চোটের জন্য মাশরাফি শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেননি। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরে দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে রোববার শুরু হতে যাওয়া সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের পর আবার ওয়ানডে খেলতে নামছেন মাশরাফি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কথায় ইঙ্গিত আছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হতে পারে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ সিরিজ।
প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, ঘুরে-ফিরে আসছে ২০১৪ সালের ওই সিরিজ। এবারের শুরুটাও কি আগের মতোই হবে? মাশরাফি অবশ্য দেখছেন ভিন্নভাবে।
“পাঁচ বছর আগের কথা আর পাঁচ বছর পরের কথা নিশ্চয়ই এক না। বাংলাদেশের জন্য প্রত্যেকটা সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে হয়তোবা ইতিবাচক জিনিসগুলো কম আসবে। আর ম্যাচে যদি হারি তাহলে নেতিবাচক জিনিসগুলো বেশি আসবে। এমন না জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই শুরু করতে হবে।”
“এরপর দল পাকিস্তানে যাবে, টেস্ট খেলবে। খেলা তো সব জায়গায় চাপের। প্রতিনিয়ত খেলা চলছে, এই বছর প্রচুর খেলা আছে। প্রত্যেকটা শুরুই এক একটি প্রক্রিয়া।”