‘তোমার বোলারদের বলো, পারলে আমাকে আউট করতে’

ওয়ানডে স্কোয়াডের অংশ না হলেও বাংলাদেশের অনুশীলনে ছিলেন আবু জায়েদ। নেটে তার সঙ্গী আল আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম। তিন পেসারের কেউই খুব একটা ভোগাতে পারছিলেন না ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। পেসারদের বোলিং খুব গভীরভাবে দেখছিলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। এক পর্যায়ে মুশফিক হাসতে হাসতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বোলিং কোচকে, “তোমার বোলারদের বলো, পারলে আমাকে আউট করতে…।”

ক্রীড়া প্রতিবেদকসিলেট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2020, 10:01 AM
Updated : 29 Feb 2020, 10:02 AM

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশে দলের অনুশীলনের একটি খণ্ড চিত্র এটি। নেটে এদিন দারুণ ব্যাট করছিলেন মুশফিক। আম্পায়ারের পজিশনে দাঁড়িয়ে পেসারদের তদারকি করছিলেন গিবসন। নেটের ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

মুশফিকের চ্যালেঞ্জের পর যেন তিন পেসার আরও তেড়েফুঁড়ে বোলিং করতে চাইলেন। লাভ হলো সামান্যই। আল আমিন ও আবু জায়েদকে অনায়াসেই খেলছিলেন মুশফিক। তার পরীক্ষা যা একটু নিলেন, কেবল শফিউলই।

নেটে বেশ সুইং পাচ্ছিলেন শফিউল। প্রায় সব বলে লাইন ও লেংথও ছিল ভালো। নেটের পেছন থেকে বারবার চিৎকার করে এই পেসারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছিলেন ডমিঙ্গো।

শফিউলের বলেই আবার দারুণ একটি কাভার ড্রাইভ খেললেন মুশফিক। সেটি দেখে মুগ্ধ ডমিঙ্গো বলে উঠলেন, “দুর্দান্ত শট মুশি, অসাধারণ পজিশন।”

মুশফিকের চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত কেউই। শেষ রাউন্ডের বোলিংয়ে আল আমিনের বলে তার শট অবশ্য উঠে গেল বাতাসে। আল আমিন সেটিকে আউট বলে দাবি করছিলেন, মুশফিক সেই দাবিকে পাত্তাই দিলেন না, “আরে ধুর, আউট কোথায়! ফিল্ডারের দূরে থাকবে বল, ২ রান…।”