জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের আগেও এই সংস্করণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান ছিল তামিমের। এই টেস্টে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ৬০ টেস্ট খেলা তামিমের রান ৪ হাজার ৪০৫, ৭০ টেস্ট খেলে মুশফিকের রান ৪ হাজার ৪১৩।
২০ ম্যাচ পিছিয়ে থেকেও তামিমের সমান নয়টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বাঁহাতি মুমিনুল। তার গড় ৪০.৮৫। তামিমের গড় ৩৮.৬৪।
সেঞ্চুরি সংখ্যায় দুজনের লড়াই হয়তো চলবে আরও অনেকদিন। তবে পারস্পরিক এই তুলনায় একদমই আগ্রহী নন মুমিনুল।
“দেখেন আপনারা জানেন, তামিম ভাই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, তিন-চার-পাঁচজন ওপেনারের একজন। তামিম ভাইয়ের সাথে আমার তুলনা কখনও হয় না। আমি ওভাবে তুলনায়ও যাই না কখনও। দলের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায় সেটাই করার চেষ্টা করি, ভালো লাগে মাঝে মাঝে আল্লাহর রহমতে করতে পারি।”
এই টেস্টের আগে রান খরায় ভুগছিলেন মুমিনুল। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৮ সালের নভেম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
মুমিনুলের মতো ভুগছিল দলও। এই টেস্টের আগে টানা ৫ টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারেননি বাংলাদেশের কেউ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের অধিনায়ক কথা দিয়েছেন, শিগগিরই সেঞ্চুরি তো বটেই, ২০০-৩০০ রানও আসতে পারে।
সেই কথা রেখে মুমিনুল খেলেছেন ১৩২ রানের ইনিংস। অধিনায়কের কথার ওজন রেখেছেন মুশফিকও। করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল, অপরাজিত ছিলেন ২০৩ রানে।
ম্যাচ শেষে নিজের সেই কথা নিয়ে বেশ মজা করলেন মুমিনুল।
“আগেও বলেছি যে আমি যখন আশা করি, তখন বড়বড় আশা করি। আমি ১০০, ১৫০ এর জন্য আশা করি না। ২০০, ৩০০ এর আশা করি। এবার ৩০০ বলেছিলাম, মুশফিক ভাই ২০০ করেছেন। পরের দিন থেকে ৪০০-৫০০ বলতে হবে, তাহলে ৩০০-৪০০ করবে।”