সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় গত বছর ভারত সফরের আগে হুট করেই টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান মুমিনুল। ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা হয়েছে আগেই। বিসিএল, এনসিএলে অধিনায়কত্ব করেছেন।
ভারত সফরে মুমিনুলের নেতৃত্ব সমালোচনা হয়েছিল প্রবল। কারণও ছিল। পরে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে একটু ছিল উন্নতির ছাপ। এবার জিম্বাবুয়েকে মিরপুর টেস্টে হারিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল পেয়েছেন প্রথম জয়ের স্বাদ।
জয়ের পর জানালেন, অধিনায়কত্বে ক্রমে মানিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে।
“আমার অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছিল বিসিএল, এনসিএল দিয়ে। ওই জায়গায় প্রথম প্রথম এরকমই (শান্ত) ছিলাম। পরে দেখলাম যে, জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। যারা মাঠে থাকে তারা জানে। একটু আগ্রাসী, রুঢ় থাকতে হয়। রুঢ় না, আগ্রাসী থাকতে হয়। সবাইকেই ঝাড়ি মারি (হাসি)।”
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক সিরিজটা মুমিনুলের কেটেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ভারতে দুই টেস্টেই দল হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক নিজে দুই ইনিংসে আউট হন শূন্য রানে। পরে পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হার সঙ্গী করে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে মুমিনুল কিছুটা চাপেই ছিলেন। তবে দেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দল জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। এখন তাই অনেকটাই স্বস্তিতে থাকার কথা তার।
“স্বস্তি না ঠিক। দল যেভাবে কাজ করবে, যেমনটা হওয়া উচিত, মানে খেলোয়াড়রা দল হিসেবে কীভাবে কাজ করবে, কীভাবে খেলবে; সেই জিনিসটা আমি সব সময় দেখতে চাইছিলাম। এটা আমি অনুভব করতে চাইছিলাম।”
“প্রথম ইনিংস থেকে আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন…পেস বোলার থেকে শুরু করে স্পিনার, এমনকি ব্যাটসম্যানরা পর্যন্ত দলের যা দরকার, সেভাবে করেছে। এই কারণে আমার কাছে মনে হয় ফলাফলটি এসেছে।”