জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে মুশফিক ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন নাজমুল হাসান।
নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার শঙ্কিত বলে বাংলাদেশ দলের প্রথম দুই দফার পাকিস্তান সফরে যাননি মুশফিক। বিসিবি সভাপতি তখন বলেছিলেন, পাকিস্তানে যেতে কাউকে জোর করা হবে না এবং ক্রিকেটারদের সবার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
কিন্তু এখন বোর্ড সভাপতির কণ্ঠে ফুটে উঠল অন্য সুর। তৃতীয় দফার সফরে আগামী এপ্রিলের শুরুতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান বললেন, এবার পাকিস্তানে তারা মুশফিককে চান।
“আমরা আশা করছি সে (মুশফিক) যাবে। সে নয় শুধু, যাকেই নির্বাচন করা হবে, সে যাবে। চুক্তিবদ্ধ প্রতিটি ক্রিকেটারের উচিত যাওয়া। এটা আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।”
“ক্রিকেটারদের দেশের কথাও চিন্তা করতে হবে, শুধু নিজের কথা চিন্তা করলে হবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটিই মনে করি। নিজের কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ, পরিবার গুরুত্বপূর্ণ, দেশ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এ কথাটি সবাইকে মনে রাখতে হবে।”
এরপরই বোর্ড সভাপতি টেনে আনলেন মাহমুদউল্লাহর প্রসঙ্গ। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী দুই বোন। সেদিকে ইঙ্গিত করে বোর্ড সভাপতি সংশয় প্রকাশ করলেন, মুশফিকের পরিবার সত্যিই শঙ্কিত কিনা।
“একটা ভয় ছিল (পাকিস্তান সফর নিয়ে)। আমাদের ভয় ছিল। যারা গিয়েছে, তাদের ভয় ছিল না? কিন্তু এই সফরের পর… আমাদের ছেলেরা যখন খেলে আসছে, তার বাড়ির লোকও তো খেলে আসছে! আমি বলতে চাচ্ছি, রিয়াদের কিছু হলে কিছু হবে না, শুধু ওর (মুশফিক) বেলায় পুরো পরিবার কান্নাকাটি করবে নাকি? চিন্তিত নাকি? এরকম তো আমি বিশ্বাস করি না।”
“রিয়াদের কাছ থেকেও তো শুনতে পারে যে কী হয়েছে, সতীর্থদের কাছ থেকে শুনতে পারে, আমাদের কাছ থেকে শুনতে পারে।”
সবশেষে মুশফিককে পাকিস্তান সফরে পাওয়ার আশাবাদ আবার শোনালেন বিসিবি প্রধান।
“পাকিস্তান আলাদা ইস্যু। আগে থেকেই আমরা বলেছি, কাউকে জোর করব না। তবে আমি মনে করি যে, সবার সঙ্গে কথা বার্তা বললে ওর হয়তো যাওয়া উচিত।”