‘আমি নেটে ঢুকলে বের হতে চাই না’

জাতীয় দলের বোলাররা প্রায়ই বলেন, নেটে মুশফিকুর রহিমকে বল করা সবচেয়ে কঠিন। লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে বাধ্য হওয়াটা সতীর্থদের এই মন্তব্যের একটি কারণ বলে মনে করেন স্বয়ং মুশফিক। কারণ, একবার নেটে ঢুকলে সহজে তিনি আর বের হতে চান না!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 03:38 PM
Updated : 24 Feb 2020, 05:52 PM

সবচেয়ে আঁটসাঁট টেকনিকের জন্য মুশফিককে নেটেও আউট করা কঠিন। লম্বা সময় ধরে ব্যাট করে যেতে পারেন। নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্চ দেন, আগামী এক ঘণ্টায় পরাস্ত হবো না, এই ঘণ্টায় আউট হবো না। এমন নিবেদনের একজন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করা সহজ নয়, বোলাররা প্রায়ই বলে থাকেন। লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের পেছনে অবশ্য টেকনিকের ততটা ভূমিকা দেখেন না মুশফিক।

“একটা কারণ হতে পারে, আমি নেটে ঢুকলে আর বের হতে চাই না। দেখা যায়, অন্যদের ৫-১০ ওভার বোলিং করে, আমাকে ২০ ওভার বোলিং করতে হয়!”

“একজন বোলারের সঙ্গে যখন ৫-১০ বছর ধরে খেলছেন, সে কী করতে পারে, কী বৈচিত্র্য থাকতে পারে, তা পুরোপুরি মুখস্ত থাকে। সেদিক থেকে বলব আমি খুব ভাগ্যবান আমি যখনই চাই, আমাকে বোলিং করে, অনেক ভালো সার্ভিস দেয়। যা আমার জন্য খুব সহায়ক হয়, ওদেরও হতে পারে।”

সবাই যে একভাবে ভাবেন তা নয়। একেক জনের অনুশীলন কৌশল একেক রকম। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের চেয়ে মুশফিক আলাদা। সহজে ঐচ্ছিক সেশনেও অনুশীলন বাদ দেন না। মাঠে সবার আগে আসা, সবার পরে যাওয়া নিয়মিত চিত্র। সবার যে এভাবেই প্রস্তুত হতে হবে সেটাও মনে করেন না মুশফিক।

“সবার এমন করতে হবে না। একেক জনের একেক রকম ভাবনা। একেক জনের একেক রকম অনুশীলন। আমি যেভাবে অনুভব করি, আমাকে পরের ম্যাচের জন্য সেরা প্রস্ততি নিতে হবে।”

“যখন আমি ধারাবাহিকভাবে একটা সেশন নেটে ব্যাট করব। আউট হওয়া কিংবা পরাস্ত হওয়া ছাড়া, এটা আমাকে অনেক বড় আত্মবিশ্বাস দেয়। আপনি ১৫-২০ মিনিট হয়তো খেলতে পারেন। কিন্তু বিভিন্ন বোলারকে এক ঘণ্টা আউট না হয়ে খেলা কঠিন। এই ব্যাপারগুলো আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয়।”

চ্যালেঞ্জ নিজের সাথেই নিজের। নেট সেশনের এই চ্যালেঞ্জগুলো উতরে যেতে পারলে মাঠেও ভালো করার সম্ভাবনা দেখেন মুশফিক।

“অনেক সময় নেটে আমি যদি আউট হয়ে যাই, পরের দিন ওদের চ্যালেঞ্জ করি, আউট করতে পারলে এটা দেব, ওটা দেব। এই জিনিসগুলো আমাকে সহায়তা করে। অন্য কারও ক্ষেত্রে হয়তো ভিন্ন। আমি মনে করি, স্কিলে যত উন্নতি করা যায়, একজন ব্যাটসম্যানের জন্য তত ভালো।”