মুশফিকের এগিয়ে থাকার এই তাড়না দুজনের বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের গভীরতা থেকেই। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুজন ছিলেন রুমমেট, ক্রিকেটের জগতে বেড়ে উঠেছেন একসঙ্গে। বন্ধুত্ব তখন থেকেই। এখনও মাঠের ভেতরে-বাইরে দুজনের সম্পর্ক দারুণ। সময়ের পরিক্রমায় দুজন হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যান।
দুই বন্ধুর মধ্যে প্রতিযোগিতাও তীব্র। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পথে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট রানে তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। নিজেকে তুলে নিয়েছেন সবার ওপরে।
মুশফিক অবশ্য সেটি জানতেন না। সংবাদ সম্মেলনে এসে জানার পর তার মুখে দেখা গেল চওড়া হাসি। মুখে হাসি নিয়েই বললেন, এগিয়ে থাকতে চান ক্যারিয়ার শেষেও।
“আমি ওকে অনেক অনুপ্রাণিত করি, ও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে। আমি জানি, আমার সাফল্যে ও অনেক খুশি হয়, ওর সাফল্যে আমিও খুশি হই। এরকম স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা দলের জন্য ভালো। আমি মনে-প্রাণে চাই ও যেন সর্বোচ্চ রান করে। তবে, এটাও চাই ওর থেকে যেন এক রান হলেও আমি বেশি করি।”
সম্প্রতি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। মুশফিকের চোখ আছে সেই রেকর্ডের দিকেও।
“বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের সব রেকর্ড কিন্তু ওর। ও একটা মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছে। একজন খেলোয়াড় এমন কিছু করে দিলে, সব সময় কথা হয় যে কে কত তাড়াতাড়ি ওটা ভাঙতে পারে। আমরা হয়তো ওর কাছাকাছি যেতে পারি। আজ হয়নি, ইনশাআল্লাহ সামনের কোনো বার যেন ওকে টপকাতে পারি।”
তামিমের সঙ্গে তার মজা, খুনসুটিও চলে নিত্য। বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক বোঝাতেই যেন বললেন আরেকটি চাওয়ার কথা।
“ ইচ্ছা আছে, আমার বলে ওকে একবার যেন আউট করতে পারি।”