কিপিংয়ের প্রতি ভালোবাসার কথা জানাতে কখনও পিছিয়ে ছিলেন না মুশফিক। বরাবরই জানিয়েছেন, ব্যাটিং যতটা উপভোগ করেন কিপিংও ততটাই ভালোবাসেন। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সাজিয়ে নেন ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা।
গত কয়েক টেস্টে খেলছেন ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখন সব কিছু একটু অন্য রকম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পর এলো কিপিংয়ের প্রসঙ্গ। অন্যবারের মতো অতো গুরুগম্ভীর নয় উত্তর, মজা করলেন মুশফিক।
“কোথায় ফ্রি? এখন তো চাপ আরও বেড়ে গেল। তখন তো দুইটা ছিল। একটা খারাপ করলে অন্তত আরেকটার সহায়তা পাওয়া যেত। এখন তো একটা মাত্র দিক। আমি তো বোলিংও পারি না (হাসি)।”
“আমার মনে হয়, বাস্তবতা অবশ্যই মানতে হবে। আমার যে বয়স হচ্ছে এটাও মানতে হবে। আমার মনে হয়, এটাই আমার সঠিক সময় অন্য দিকে একটু মনোযোগ দেওয়ার। কারণ, ফিল্ডিংয়ের সময় আমি একটু রিল্যাক্সড থাকতে পারি। এতে ব্যাটিংয়ে আমার মনোযোগটা আরও বেশি থাকতে পারে। ভালো যাচ্ছে, আশা করছি এটা ধরে রাখতে পারব।”
উইকেট কেমন আচরণ করছে বুঝতে এখন কিপার লিটন দাস কিংবা স্লিপের ফিল্ডারের সাহায্য নেন মুশফিক। প্রয়োজন হলে কিছুটা সময়ের জন্য বাইরে আসতে পারেন। এই বাড়তি বিশ্রামের সুবিধাটুকু মিলছে ব্যাটিংয়ে। আরও সতেজ থেকে ব্যাট করতে পারছেন।
“অনেক সময় কিপিং করেও অনেক ভালো খেলেছি। আমি এখনও অনুভব করি, কিপিং করাটা আমাকে অনেক সাহায্য করে। আমাকে ইনফরমেশন নিতে হয় লিটনের কাছ থেকে বা স্লিপের ফিল্ডারের কাছ থেকে।”
“এখনও কিপিংটা অনেক মিস করি, আমার মনে হয় দল যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি সম্মান করি। এবং ভবিষ্যতে যেভাবে দলে অবদান রাখা যায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”