প্রাপ্তির দিনে জয়ের পথে এগিয়ে বাংলাদেশ

ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ছাড়িয়ে গেলেন তামিম ইকবালকে। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল হক। স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। শেষ বেলায় জোড়া আঘাতে জিম্বাবুয়েকে নাড়িয়ে দিলেন নাঈম হাসান। মিরপুর টেস্টে জয়ের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 03:47 AM
Updated : 24 Feb 2020, 11:19 AM

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫৪ ওভারে ৫৬০/৬ (ইনিংস ঘোষণা )

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৫ ওভারে ৯/২

বাংলাদেশের চাই ৮ উইকেট

মিরপুর টেস্ট জিততে আর ৮ উইকেট চাই বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের আবার ব্যাট করাতে জিম্বাবুয়ের চাই আরও ২৮৬ রান। 

২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা সফরকারীরা তৃতীয় দিন শেষ বেলায় প্রথম ওভারেই হারায় ২ উইকেট। বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দিয়েছেন কেভিন কাসুজা ও ব্রেন্ডন টেইলর।

২ উইকেটে ৯ রানে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। কাসুজা ৮ ও টেইলর ১ রানে ব্যাট করছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬০/৬ ইনিংস ঘোষণা

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৪ ওভারে ৯/২ (মাসভাউরে ০, কাসুজা ৮*, টিরিপানো ০, টেইলর ১*; নাঈম ৩-০-৪-২, তাইজুল ২-০-৫-০)

গোল্ডেন ডাক নাইটওয়াটচম্যান টিরিপানো

দিনের খেলা আর বেশি বাকি নেই। তাই ডোনাল্ড টিরিপানোকে তিনে পাঠিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। নাইটওয়াচম্যান ফিরেছেন প্রথম বলেই।

টিরিপানোও টার্ন করবে ভেবে খেলেছিলেন। ততটা টার্ন না করা বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।

হ্যাটট্রিক হয়নি নাঈমের। পরের বলটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর। ১ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ০/২।

দ্বিতীয় বলেই নাঈমের আঘাত

২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুটা একদমই ভালো হলো না সফরকারীদের।

বাংলাদেশ শুরু করেছে স্পিন দিয়ে। দ্বিতীয় বলেই উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাঈম হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিয়েছেন প্রিন্স মাসভাউরেকে। 

যতটা টার্ন করবে ভেবে খেলেছিলেন মাসভাউরে ততটা টার্ন করেনি নাঈমের বল। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে অফ স্টাম্পের উপরের দিকে।

মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির পর ইনিংস ঘোষণা

১৮ চারে ১৬০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন মুশফিক। ৩‌১৫ বলে লেগেছে ডাবল সেঞ্চুরিতে যেতে। শেষ পর্যন্ত ৩১৮ বলে ২৮ চারে ২০৩ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

৬ উইকেটে ৫৬০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। টেস্টে তাদের এর চেয়ে বড় ইনিংস আছে কেবল দুটি। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে করেছিল ৫৯৫ রান। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা ৬৩৮ এখনও সেরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের সেরা ২০১৮ সালে মিরপুরেই ৭ উইকেটে ৫২২।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৪০/৩) ৫৬০/৬ ইনিংস ঘোষণা (মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ২০৩*, মিঠুন ১৭, লিটন ৫৩, তাইজুল ১৪*; টিরিপানো ৩০-৬-৯৬-১, নিয়াউচি ২৭-৩-৮৭-১, রাজা ৩০-১-১১১-১, টিশুমা ২৫-০-৮৫-১, এনডিলোভু ৪২-১-১৭০-২)

ফিফটি করে আউট লিটন

ফিফটির পর বেশিদূর যেতে পারলেন না লিটন দাস। সিকান্দার রাজার বলে ধরা পড়লেন রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। জিম্বাবুয়ে কিপারের এটি পঞ্চম ডিসমিসাল। বাংলাদেশে এক ইনিংসে প্রথম কিপার হিসেবে দেখালেন এই কৃতিত্ব।

অফ স্টাম্পের বাইরের বল থার্ড ম্যানের দিকে খেলেছিলেন লিটন। বুঝতে পেরে সরে গিয়ে গ্লাভসে জমানোর চেষ্টা করেন চাকাভা। পায়ে লাগার পর ঠিকই জমান ক্যাচ। ৯৫ বলে পাঁচ চারে ৫৩ রান করে ফিরে যান লিটন। ভাঙে ১১১ রানের জুটি।

১৪৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫৩২/৬। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।

মুশফিক-লিটনের জুটিতে একশ

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর দলকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ১০৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল জুটির রান, একশ রানে গেল ১৬৮ বলে।

১৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫২৬/৫। মুশফিক ১৮৮ ও লিটন ৪৮ রানে ব্যাট করছেন।

শেষ হলো এনডিলোভুর ম্যারাথন স্পেল

এক টানা ২৬ ওভার বল করার পর বিশ্রাম পেলেন আইন্সলে এনডিলোভু। লম্বা এই স্পেলে মেডেন নিতে পেরেছেন কেবল তিনটি ওভার। ৯৪ রান দিয়ে নিয়েছেন মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট।

বাংলাদেশের পাঁচশ

রানের পাহাড়ে জিম্বাবুয়েকে চাপা দিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো টেস্টে পাঁচশ রানের সংগ্রহ গড়েছে তারা।

১৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫১০/৫। মুশফিকুর রহিম ১৭৬ ও লিটন দাস ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।

টেস্টে দশমবারের মতো পাঁচশ ছাড়াল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়বার।

দুইশ ছাড়িয়ে লিড

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে লিড বাড়িয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেছেন লিটন, দেড়শ ছুঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। স্বাগতিকদের লিড পেরিয়েছে দুইশ।

চার্ল্টন টিশুমার বলে লিটনের বাউন্ডারিতে ১০৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছে ষষ্ঠ উইকেট জুটির রান।

১৩৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪৭১/৫। মুশফিক ১৫৭ ও লিটন ২৪ রানে ব্যাট করছেন। জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে ২০৬ রানে।

মুশফিকের দেড়শ

চা-বিরতির পর খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দেড়শ রানে পৌছে গেলেন মুশফিকুর রহিম। টেস্টে এটি তার চতুর্থ দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস।

পঞ্চাশ, একশর পর দেড়শ এসেছে বাউন্ডারিতে। ২৫৪ বলে ১৫০ স্পর্শ করতে মেরেছেন ২৪টি বাউন্ডারি। ধীরে ধীরে লিটন দাসের সঙ্গে জমে উঠছে তার জুটি।

১৩৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪৫৭/৫। মুশফিক ১৫৪ ও লিটন ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

মুমিনুল-মিঠুনকে হারিয়ে ৯১ রান

দুটি উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় সেশনে কমেছে রানের গতি। মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনকে হারানো বাংলাদেশ ২৮ ওভারে যোগ করেছে ৯১ রান।

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৪৪২/৫। ২৩৯ বলে ২৩ চারে ১৪৩ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। এক চারে ৩১ বলে ৯ রানে খেলছেন লিটন দাস।

আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মাঝ দুপুরে ফ্লাড লাইটে জ্বালিয়ে চলছে খেলা। পূর্বাভাসে আগামী দুই দিন বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।

ক্যারিয়ারে চতুর্থ দেড়শ ছোঁয়া ইনিংসের দুয়ারে রয়েছেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের টেস্টেই করেছিলেন অপরাজিত ২১৯, নিজের তো বটেই বাংলাদেশেরই টেস্টে যা সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে গলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে করেছিলেন ১৫৯।

২৬৫ রানে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে ১৭৭ রানে।

টিকলেন না মিঠুন

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে দিলেন আইন্সলে এনডিলোভু।

বাঁহাতি স্পিনারকে সরে গিয়ে কাট করেছিলেন মিঠুন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় কিপারের কাছে। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন মিঠুন। পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত, উল্টো নষ্ট হয় একটি রিভিউ। 

২৩ বলে তিন চারে ১৭ রান করেন মিঠুন। ১১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪২১। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী লিটন দাস।

১১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪২১/৫। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী লিটন দাস।

বাংলাদেশের চারশ

টানা তিন ওভার মেডেনের পর এনডিলোভুর বলে মোহাম্মদ মিঠুনের বাউন্ডারি, এই শটেই পূর্ণ হলো দলের চারশ।

এই নিয়ে টেস্টে ২১ বার চারশ স্পর্শ করল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চমবার।

এনডিলোভুর দারুণ ফিরতি ক্যাচে ফিরলেন মুমিনুল

বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবে দারুণ রিফ্লেক্সে ক্যাচ মুঠোয় জমিয়ে তাকে চমকে দিলেন আইন্সলে এনডিলোভু। টেস্টে এটাই বাঁহাতি এই স্পিনারের প্রথম উইকেট।

২৩৪ বলে ১৪ চারে ১৩২ রান করেন মুমিনুল। ভাঙে ২২২ রানের জুটি। 

১১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৯৪/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।

তামিম-ইমরুলকে ছাড়িয়ে মুমিনুল-মুশফিক
 
এতো দিন টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এবং মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম জুটির। দুই ওপেনারের জুটিকে এবার ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল ও মুশফিক।
 
মুমিনুল-মুশফিকের তিনটি দুইশ রানের জুটির দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে মিরপুরেই চতুর্থ উইকেটে গড়েছিলেন ২৬৬ রানের জুটি। এর আগে সেই বছর জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২৩৬ রানের জুটি।
 
টেস্টে দশমবারের মতো দুইশ বা এর বড় জুটি পেল বাংলাদেশ।
 
৩১৫ বলে দুইশ স্পর্শ করে মুমিনুল-মুশফিকের চতুর্থ উইকেট জুটির রান। তাদের জুটি একশ ছুঁয়েছিল ১৮০ বলে।  
 
১০২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭৩/৩। মুমিনুল ১২২ ও মুশফিক ১১৭ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের সপ্তম সেঞ্চুরি
সেঞ্চুরির জন্য মোটেও তাড়াহুড়া করেননি মুশফিকুর রহিম। অপেক্ষা করেছেন সঠিক বলের জন্য। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই পেয়ে গেলেন সেই বল।
১৮ চারে ১৬০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুশফিক। ৯৫ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি।
১০১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫৮/৩। মুশফিক ১০৪ ও মুমিনুল হক ১২১ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের দারুণ সেশন

শেষ দুই বলে হঠাৎ উত্তেজনা। পারবেন মুশফিকুর রহিম? কাজ সারতে ঝুঁকি নেবেন নাকি লাঞ্চের পর এসে সারবেন বাকিটুকু? ঝুঁকি নিলেন না অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আইন্সলে এনডিলোভুর দুটি বল খেললেন সতর্কতায়। ৯৯ রানে থেকে গেলে লাঞ্চে।

অন্য প্রান্তে আগেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল হক। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ও ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবালের পাশে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন যৌথভাবে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।

মুমিনুল ও মুশফিকের জুটি আগেভাগে ভাঙতে না পারলে বিপদ আছে, আগের দিন সতীর্থদের সাবধান করেছিলেন ক্রেইগ আরভিন। জমে যাওয়া জুটি ভাঙতে পারেনি সফরকারীরা। ৪৯ ওভার ২ বলে ১৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে রানের পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল ও মুশফিক।

তৃতীয় দিন লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫১। ১৭ চারে ১৫৩ বলে ৯৯ রান করেছেন মুশফিক, মুমিনুল ১৩ চারে ২০৫ বলে ১১৯।  

জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ৮৬ রানে। ২৮ ওভারের প্রথম সেশনে যোগ করেছে ১১১ রান।

মুমিনুল-মুশফিকের দেড়শ রানের জুটি
 
দ্বিতীয় নতুন বলে দ্রুত রান তুলছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ২৫১ বলে দেড়শ ছুঁয়েছে চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটির রান।
 
জুটিতে অগ্রণী মুশফিক। ১২৯ বলে ৮০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১২২ বলে ৬৬ রান করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল।   
 
১০০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিল জুটির রান। ১৮০ বলে ছুঁয়েছিল তিন অঙ্ক।
 
৯২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩২৮/৩। তৃতীয় দিন সকালে ৯৩ মিনিটে ৮৮ রান যোগ করেছেন মুশফিক ও মুমিনুল। মুশফিক ৮৪ ও মুমিনুল ১১১ রানে ব্যাট করছেন।

তামিমকে স্পর্শ করলেন মুমিনুল
অধিনায়ক হিসেবে বিবর্ণ শুরুর পর ক্রমেই নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন মুমিনুল হক। ভারত সফর একদমই ভালো কাটেনি। পাকিস্তানে থিতু হতে পেরেছিলেন কিন্তু দুটি সম্ভাবনাময় ইনিংসকে দিতে পারেননি পূর্ণতা। দেশের মাটিতে নেতৃত্বর অভিষেকে পেলেন তিন অঙ্কের দেখা।

২০৮ মিনিটে ১৫৬ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১২টি চার।
 
৮৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৯০/৩। মুমিনুল ১০২ ও মুশফিকুর রহিম ৫৭ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের ফিফটি, জুটির একশ
 
ফেরার ম্যাচে ফিফটি করলেন মুশফিকুর রহিম। ভিক্টর নিয়াউচির বলে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের বাউন্ডারিতে মুমিনুল হকের সঙ্গে তার জুটির রান ছুঁয়েছে তিন অঙ্ক।
 

১০০ বলে এসেছিল চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি। একশ হয়েছে ১৮০ বলে। জুটিতে অগ্রণী মুশফিক। ৯৫ বলে করেছেন ৫৩, মুমিনুল ৮৫ বলে ৪৬।  
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে না যাওয়া মুশফিক ৯৫ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি।
৮০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৩/৩। মুশফিক ৫৩ ও মুমিনুল ৯০ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের লিড
 
দিনের অষ্টম ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ফিফটির দুয়ারে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম, সেঞ্চুরির কাছে মুমিনুল হক। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে দুই জনের জুটি।
 
৭৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৭/৩। মুমিনুল ৮৯ ও মুশফিক ৪৯ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এগিয়ে ২ রানে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে থেমেছিল ২৬৫ রানে।

বড় লিডের আশায় বাংলাদেশ
 
ক্রিজে জমে গেছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। সবশেষ টেস্টে জিম্বুয়ের বিপক্ষে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মুশফিক করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি, দেড়শ ছাড়িয়ে থেমেছিলেন মুমিনুল। ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষায় দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও লিটন দাস।
 
৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ৭৯ ও মুশফিক ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
 
দ্বিতীয় দিন দুয়েকটা বল বাড়তি টার্ন করেছে। তবে উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে বড় লিড অসম্ভব নয়।  
 
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ৭৯*, মুশফিক ৩২*; টিরিপানো ১৫-৩-৪০-১, নিয়াউচি ১৩-২-৪১-১, রাজা ২২-১-৭৫-০, টিশুমাম ১২-০-৪৬-১, এনডিলোভু ৯-১-৩৩-০)