প্রায় সাত বছর ধরে টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পাচ্ছে না বাংলাদেশের কোনো পেসার। দেশের মাটিতে কারো সবশেষ এই কীর্তির পর পেরিয়ে গেছে ১০ বছর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে খরা কাটানোর আশা জাগিয়েছিলেন আবু জায়েদ। তাকে হাতছানি দিচ্ছিল ৫ উইকেট, জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি নেওয়ার সুযোগও পেয়েছিলেন যথেষ্ট। শেষ পর্যন্ত হয়নি। থেমেছেন ৭১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবশেষ ৫ উইকেট নেওয়া পেসার রবিউল ইসলাম। ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে হারারে টেস্টে নিয়েছিলেন ৮৫ রানে ৫ উইকেট। এর আগের টেস্টেই হারারেতে ৭১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল। দেশের বাইরে বাংলাদেশের পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড সেটি।
রবিউলের কীর্তিমাখা সেই সিরিজের পর এই মিরপুর টেস্ট পর্যন্ত মোট ৪০ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিং টেস্ট অভিষেকে মুস্তাফিজের ৩৭ রানে ৪ উইকেট, ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
দেশের মাটিতে পেসারদের পারফরম্যান্সের চিত্র অনুমিতভাবে আরও করুণ। সবশেষ ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৭১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের বাস্তবতা ফুটে ওঠে আরেকটি তথ্যে। টেস্ট ক্রিকেটে ২০ বছরের পথচলায় কেবল শাহাদাত ছাড়া দেশে ৫ উইকেট পাননি আর কোনো পেসার।
২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ওই টেস্টের আগে শাহাদাত আরও দুইবার দেশের মাটিতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ২০০৮ সালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, এখনও যা টেস্টে পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এছাড়া ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বগুড়ায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত।
এবার মিরপুরের উইকেটে পেসারদের জন্য খানিকটা সহায়তা ছিল। বাংলাদেশের বাস্তবতায় আবু জায়েদের স্কিলও দারুণ। সব মিলিয়েই মনে হচ্ছিল, ফুরোবে বুঝি দীর্ঘ এই অপেক্ষা। কিন্তু হলো না এবারও।