জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০/৩ |
বড় লিডের পথে বাংলাদেশ
প্রতি সেশনে কেবল একটি করে উইকেট নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই বিদায় করেছিল সাইফ হাসানকে। থিতু হওয়ার পরও ইনিংস বড় করতে দেয়নি তামিম ইকবালকে। তবে অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাটিতে নিজের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে উইকেটে আছেন মুমিনুল হক। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। ফেরার ম্যাচে ফিফটির কাছে আছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান।
৩ উইকেটে ২৪০ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা পিছিয়ে কেবল ২৫ রানে। ৯ চারে ১২০ বলে ৭৯ রানে ব্যাট করছেন মুমিনুল। ৬ চারে ৬৮ বলে ৩২ রানে খেলছেন মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ৭৯*, মুশফিক ৩২*; টিরিপানো ১৫-৩-৪০-১, নিয়াউচি ১৩-২-৪১-১, রাজা ২২-১-৭৫-০, টিশুমাম ১২-০-৪৬-১, এনডিলোভু ৯-১-৩৩-০)
মুমিনুল-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ
টানা তিন উইকেটে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জুটির ফিফটি এসেছে একশ বলে।
৬৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২২৩/৩। মুমিনুল ৬৮ ও মুশফিক ২৬ রানে ব্যাট করছেন। সফরকারীদের চেয়ে ৪২ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ
অধিনায়ক মুমিনুলের প্রথম ফিফটি
ভারতে ভরাডুবির পর পাকিস্তানে রানে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন মুমিনুল। রাওয়ালপিন্ডিতে সম্ভাবনাময় ইনিংসগুলোকে পূর্ণতা দিতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ইনিংসে পেলেন ফিফটি।
৭৮ বলে চারটি চারে ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ফিফটি স্পর্শ করেন মুমিনুল। নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। সাবধানী ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়ে তুলছেন জুটি।
৫৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৯১/৩। মুমিনুল ৫০ ও মুশফিক ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
একটুর জন্য মুশফিকের রক্ষা
বিপজ্জনকভাবে বল ছেড়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন মুশফিকুর রহিম। বেঁচে গেছেন বল অল্পের জন্য স্টাম্পে না থাকায়।
চার্ল্টন টিশুমার অফ স্টাম্পের বাইরের বল চমকে দিয়ে ভেতরে ঢোকে আঘাত হানে মুশফিকের প্যাডে। ব্যাটসম্যান শট না খেলায় কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন ক্রেইগ আরভিন। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, অফ স্টাম্পের খুব কাছ দিয়ে যেত বল।
৫৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৩। মুশফিক ৯ ও মুমিনুল হক ৪৯ রানে ব্যাট করছেন।
খোঁচা মেরে ফিরলেন শান্ত
প্রথম স্পেলে খরুচে বোলিং করা চার্ল্টন টিশুমা দ্বিতীয় স্পেলে পেলেন নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট।
একটু বাড়তি বাউন্স কাল হলো বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। টিশুমা পেলেন প্রথম টেস্ট উইকেট।
১৩৯ বলে সাত চারে ৭১ রান করেন শান্ত। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।
৫০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৭২/৩। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
শান্ত-মুমিনুল জুটিতে পঞ্চাশ
ভিক্টর নিয়াউচির বলে আলতো করে ব্যাট পেতে দিলেন মুমিনুল হক, পেলেন আরেকটি বাউন্ডারি। সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটির রান স্পর্শ করল পঞ্চাশ।
তৃতীয় উইকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জুটির ফিফটি এসেছে ৮৪ বলে। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে দ্রুত রান তুলছেন মুমিনুল। জুটিতে অগ্রনী অধিনায়কই। শান্তর সঙ্গে জমে গেছে তার জুটি।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৯/২। শান্ত ৬১ ও মুমিনুল ৩৫ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে।
তামিমকে হারিয়ে সেশনে ৯৫ রান
দ্বিতীয় সেশনে তামিম ইকবালকে হারিয়ে ৩০ ওভারে ৯৫ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় স্বাগতিকদের স্কোর ১২০/২। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ ও মুমিনুল হক ১২ রানে ব্যাট করছেন।
শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন শান্ত। জিম্বাবুয়ের স্পিন-পেস কিছুই খুব একটা ভাবাতে পারেনি তাকে। বাজে বলে তুলে নিয়েছেন বাউন্ডারি, এক-দুই নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা।
প্রথম রান নেওয়ার পথে রান আউট হয়ে ফিরতে পারতেন মুমিনুল। একটুর জন্য ফিল্ডারের সরাসরি থ্রো লাগেনি স্টাম্পে। সে সময় কিছুটা দূরে ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
কঠিন সময়টা পার করে দিয়েছিলেন তামিম। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে এগোচ্ছিলেন দ্রুত। এমন সময়ে ডোনাল্ড টিরিপানোর দারুণ এক ডেলিভারিতে থামলেন কট বিহাইন্ড হয়ে। সম্ভাবনাময় ইনিংসকে দিতে পারলেন না পূর্ণতা।
এখনও জিম্বাবুয়ের চেয়ে ১৪৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ, হাতে রয়েছে ৮ উইকেট।
পাকিস্তান সফরে সম্ভাবনা জাগিয়েও থামেন ৪৪ ও ৩৮ রানে। সেখান ফিরে বিসিএলে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। এই আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে মিরপুর টেস্টে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফিফটি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৬ চারে ১০৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন শান্ত। শুরু থেকে খেলছেন আস্থার সঙ্গে। তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েছেন ৭৮ রানের জুটি। মুমিনুল হকের সঙ্গে জমে উঠতে শুরু করেছে তার আরেকটি জুটি।
৩৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১৪/২। শান্ত ৫০ ও মুমিনুল ১১ রানে ব্যাট করছেন।
পারলেন না তামিম
উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে। সম্ভাবনা জাগাচ্ছিলেন বড় কিছুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তামিম ইকবাল। আউট হয়ে গেলেন ৪১ রানে।
ডোনাল্ড টিরিপানোর রাউন্ড দা উইকেটে করা বলটি পিচ করে ভেতরে ঢোকে খানিকটা। তামিম লম্বা পা বাড়িয়ে চেষ্টা করেছিলেন খেলার। কিন্তু বলের লাইনে পা নিতে পারেননি। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
৮৯ বলে ৪১ রান করে বিদায় নিলেন তামিম। ভাঙল নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার ৭৮ রানের জুটি।
বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৬।
তামিম-শান্তর জুটিতে পঞ্চাশ
সাইফ হাসানের দ্রুত বিদায়ের পর বাংলাদেশকে টানছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করা তামিম বাড়াতে শুরু করেছেন রানের গতি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন শান্ত। তাদের জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৯১ বলে।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬৮/১। তামিম ৩০ ও শান্ত ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুতেই শেষ সাইফ
ভিক্টর নিয়াউচির আগের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খোলেন রানের খাতা। পরে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে আসে আরেকটি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত নিয়াউচির বলেই ফিরলেন কিপারকে ক্যাচ দিয়ে।
চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সাইফের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে।
১২ বলে দুই চারে সাইফ করেন ৮ রান। ৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৮/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
অবশেষে তাইজুলের উইকেট
আগের দিনের অনুজ্জ্বল তাইজুল ইসলামকে সকাল থেকে এক প্রান্তে রেখেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়ককে আস্থার প্রতিদান দিলেন তাইজুল। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরালেন অভিষিক্ত চার্ল্টন টিশুমাকে।
টার্ন আশা করে খেলেছিলেন টিশুমা। স্টাম্পে থাকা বল ততটা টার্ন করেনি। বল আঘাত হানে প্যাডে, এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান।
১০০ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৪৫/৯। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী ভিক্টর নিয়াউচি।
শুরুতেই আবু জায়েদের আঘাত
দারুণ বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কারটা দ্রুতই পেলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। ডোনাল্ড টিরিপানোকে কট বিহাইন্ড করে নিলেন নিজের তৃতীয় উইকেট।
আবু জায়েদের আগের ওভারে ব্যাটের কানায় লেগে ফাঁকা তৃতীয় স্লিপ দিয়ে বাউন্ডারি পেয়েছিলেন টিরিপানো। এবারও ড্রাইভ করেছিলেন, সুইংয়ের জন্য ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।
দুই চারে ৩১ বলে ৮ রান করেন টিরিপানো। ৯৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৪০/৭। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী আইন্সলে এনডিলোভু।
তিনশর নিচে থামাতে পারবে বাংলাদেশ?
জিম্বাবুয়েকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অন্য দিকে অন্তত প্রথম সেশন খেলার লক্ষ্য জিম্বাবুয়ের।
৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী ডোনাল্ড টিরিপানো। সফরকারীদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের আশা, নিজের ইনিংস দ্বিতীয় সেশনে নিয়ে যান চাকাভা-টিরিপানো।
যত দ্রুত সম্ভব জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম দিন চার উইকেট নেওয়া নাঈম হাসান আত্মবিশ্বাসী, সফরকারীদের লোয়ার অর্ডার দ্রুতই গুটিয়ে দিতে পারবেন তারা। বাংলাদেশ কী পারবে তিনশ রানের নিচে সফরকারীদের থামাতে?
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৮/৬ (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৯*, টিরিপানো ০*; ইবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ১৬-৪-৫১-২, নাঈম ৩৬-৮-৬৮-৪, তাইজুল ২১-১-৭৫-০)।