সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসেননি নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। শুক্রবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে জানানো হয় উইলিয়ামসের বাবা হওয়ার খবর। তার অনুপস্থিতিতে শনিবার মিরপুরে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিতে নামেন আরভিন।
২০১১ সালে হারারেতে আরভিনের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত ৩৫। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে আরও তিন টেস্ট খেলেছেন, ওই ৩৫ রানই ছিল সর্বোচ্চ। চার টেস্টে ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ২১।
এবার শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ফিফটিই করেননি, সেটিকে টেনে নিয়েছেন তিন অঙ্কে। ১৯৯২ সালে ডেভ হটনের পর জিম্বাবুয়ের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর তাকে উইকেটেও যেতে হয়েছিল বেশ দ্রুত। অষ্টম ওভারে কেভিন কাসুজার বিদায়ের পর যান ক্রিজে। স্নায়ুর চাপ হয়তো ছিল। শুরুর দিকে রানের জন্য ছটফট করছিলেন, খেলছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ শট।
পরে খুঁজে পান ছন্দ। ক্রমে ব্যাটিংয়ে পড়ে আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। দিনের শেষ দিকে আউট হওয়ার আগে করেন ১০৭। ২২৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ১৩ চারে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আরভিন জানালেন, এই সেঞ্চুরির মাহাত্ম তার কাছে অন্যরকম।
“দেশের বাইরে যে কোনো সেঞ্চুরিই বিশেষ কিছু। অতীতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমি ভালো করতে পারিনি। এমন একটি ইনিংস খেলতে পেরে আমি অবশ্যই খুশি।”
বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে ইনিংস গড়া সহজ ছিল না তার জন্য। জানালেন, পুরস্কার পেয়েছেন ধৈর্য ধরে উইকেটে পড়ে থাকার।
“বাংলাদেশ খুব ভালো বোলিং করেছে। তারা ধারাবাহিকভাবে আঁটসাঁট লাইনে বোলিং করে গেছে। আমি শুধু ধৈর্য ধরে টিকে ছিলাম। উইকেটে বেশি কিছু ছিল না। কিন্তু ওরা ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। আমি স্রেফ নিজের কাজটা করেছি। যখন সুযোগ পেয়েছি রান করেছি।”
“উইকেট ভালো ছিল বলে আমি কিছু শট খেলার সুযোগ পেয়েছি (শুরুতে)। তবে পরে আমি আমার শক্তির জায়গা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি, প্রান্ত বদল করেছি, স্কোরবোর্ড সচল রেখেছি। আমি মনে করি, ওদের ফিল্ডিং আজ ভালো ছিল। তাই প্রান্ত বদল করে খেলার চেষ্টা করেছি, ধৈর্য রেখেছি।”
নতুন বলে দারুণ লাইন ও লেংথে বোলিং করেছেন বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসেন। পরে উইকেট কিছুটা সহজ হয়ে এলেও নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কাজটি কঠিনই ছিল। আরভিনের মতে তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, উইকেট আঁকড়ে রাখা।
“উইকেটে গিয়েই ইনিংস এগিয়ে নেওয়া ছিল কঠিন। থিতু হওয়ার পর উইকেটের গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গেছে। ছেলেদের জন্য ব্যাপারটি ছিল নিবেদন দেখানোর, শুরুতে ধৈর্য ধরার এবং আতঙ্কিত না হওয়ার। রান করার সুযোগ ছিলই।”