জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের উজ্জ্বলতম পারফর্মার ছিলেন নাঈম। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা তেমন ছিল না। সেখানেই নিজের স্কিল দেখালেন তিনি। ৩৬ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিলেন ৬৮ রানে।
দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো প্রিন্স মাসভাউরেকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন শিকার। এরপর বিদায় করেন জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডারের দুই ভরসা ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজাকে। বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যিনি, সেঞ্চুরি করা সেই ক্রেইগ আরভিনকেও থামান শেষ বেলায়।
স্কিলের পাশাপাশি নজর কাড়েন টানা বোলিং করে। মাত্র চার বোলার নিয়ে সাজানো বাংলাদেশের একাদশ। নাঈম এক পাশে টানা ৩২ ওভার বোলিং করেছেন বলেই অন্য বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, পেসাররা পেয়েছেন যথেষ্ট বিশ্রাম।
দিনের খেলা শেষে নাঈম জানালেন, টানা লম্বা সময় বোলিং করা নতুন কিছু নয় তার জন্য।
“অভ্যাসটা আমার জাতীয় ক্রিকেট লিগ থেকেই আছে। সেখানেও আমি লম্বা স্পেলে বোলিং করেছি। যখনই আমি বোলিং করি, লম্বা স্পেল করি। লম্বা স্পেল করলে সব সময় চেষ্টা করি ধৈর্য ধরে একটা জায়গায় বল করার।”
এই টেস্টের ঠিক আগে বিসিএলের ম্যাচে কক্সবাজারে দুই ইনিংস মিলিয়ে বোলিং করেন প্রায় ১০০ ওভার। তার আগের ম্যাচে করেন ৪০ ওভারের বেশি। নাঈমের তাই অভ্যস্ত হয়ে ওঠারই কথা। বিসিএলের ম্যাচে লম্বা স্পেলে পেয়েছিলেন দারুণ সাফল্য। ওই দুই ম্যাচ থেকেই নেন ২১ উইকেট।
আত্মবিশ্বাস তাই প্রবল ছিল, টেস্টের প্রথম দিন শেষে জানালেন নাঈম।
“ওখানে ২১ উইকেট পেয়েছি, অনেক বোলিং করেছি। সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অনুশীলন করার চেয়ে ম্যাচের মধ্যে থাকলে আত্মবিশ্বাসটা বেশি থাকে।”