সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় গত বছরের নভেম্বরে ভারত সফরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান মুমিনুল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ইন্দোরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেন ৩৭। দ্বিতীয় ইনিংসে যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
আর কলকাতায় প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে খেলা দিবা-রাত্রির টেস্টে দুই ইনিংসেই ফেরেন শূন্য রানে। দুই টেস্টেই তার দল হেরেছিল তিন দিনে, ইনিংস ব্যবধানে। মাঠের বাইরে সংবাদমাধ্যমকেও সামলাতে পারেননি ঠিকমতো।
এ মাসের শুরুতে মুমিনুলের নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশ পায় ইনিংস পরাজয়ের স্বাদ। অধিনায়কের পারফরম্যান্স যদিও ভারত সফরের মতো অতটা বিবর্ণ ছিল না। দুই ইনিংসে করেন ৩০ ও ৪১।
তার নেতৃত্বে এবার দেশের মাটিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। শনিবার শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল জানালেন, নেতৃত্বের পথচলার অভিজ্ঞতা।
“প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তিতে ছিলাম (সংবাদমাধ্যমের সামনে)। বিশেষ করে ভারতে নার্ভাস ছিলাম। পাকিস্তানে অনেকটা সহজ ছিল। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো। আগের তুলনায় স্বস্তিদায়ক। এখন উপভোগ করছি আগের চেয়ে।”
“মাঠে আগেও উপভোগ করতাম। ব্যাটিং-ফিল্ডিং, ডিসিশন থেকে শুরু করে সবকিছু। এখন আরও বেশি স্বস্তিদায়ক হয়েছে। প্রথম সিরিজ চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখন সহজ।”
মুমিনুলের দায়িত্বটা স্বল্পমেয়াদী নাকি দীর্ঘমেয়াদী, এমন কোনো বার্তা বোর্ড থেকে এখনও দেওয়া হয়নি। তিনি অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। বরং উপভোগ করছেন অধিনায়কত্ব।
“আমার কাছে তেমন বার্তা নেই। আমার কাছে স্বল্পমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী; এমন কিছু না। আমি (অধিনায়কত্ব) উপভোগ করছি। আমাকে এমন কিছু বলেনি যে স্বল্পমেয়াদী। মাঝে মাঝে মানিয়ে নিতে হবে। আমাকে বলেনি যে তোমাকে দুই সিরিজ-এক সিরিজের জন্য।”