পেসার ছাড়া খেলতে নেমে সবশেষ দুই টেস্টে দুইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের কাছে চট্টগ্রামে বাজেভাবে হেরেছিল দল। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে জয় এসেছিল ইনিংস ব্যবধানে।
স্পিনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও পেসারবিহীন বা এক পেসারের একাদশ দেখা গেলে বিস্ময়কর হতো না মোটেও। তবে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানালেন তার ভাবনা।
“আমরা সম্ভবত দুই জন পেসার নিয়ে নামছি। স্রেফ একজন সিমার নিয়ে মাঠে নামলে দলের খুব উপকার হয় বলে মনে হয় না। তিন জন পেসার খেলাতে পারলে সেটি হতো সবচেয়ে উপযুক্ত, যদি এমন কেউ থাকত যে সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের এখন তেমন কেউ নেই।”
“আমরা যদি তিন পেসার নিয়ে নামি, তাহলে ব্যাটিং একটু হালকা হয়ে যায়, কারণ দুইজন স্পিনার নিয়েও খেলতে হবে আমাদের। যতদিন না সাইফ উদ্দিন ফিট হচ্ছে বা এমন কাউকে পাচ্ছি যে সাতে ব্যাট করতে পারে এবং ১০-১৫ ওভার পেস বোলিং করতে পারে, আমাদের সম্ভবত দুই পেসার নিয়ে নামতে হবে।”
ডমিঙ্গোর কথা থেকে বাংলাদেশের একাদশও অনেকটা নিশ্চিত। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে সাইফ হাসানের থাকা নিয়ে সংশয় খুব একটা নেই। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ফিফটি করে মোহাম্মদ মিঠুনের টিকে যাওয়ারই কথা। সাতে কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
স্পিনে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধতে এগিয়ে থাকবেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। সেক্ষেত্রে মেহেদী হাসান মিরাজকে থাকতে হবে বাইরে। পেস বোলিংয়ে আবু জায়েদ চৌধুরির সঙ্গে দেখা যাবে ইবাদত হোসেন কিংবা তাসকিন আহমেদের একজনকে।