পেস বোলিংয়ের জন্য ভালো মিরপুরের উইকেট!

‘আনপ্রেডিক্টেবল’- মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণ নিয়ে ক্রিকেটারদের মুখে এমন কথা শোনা যায় প্রায়ই। উইকেটের মূল চরিত্র যদিও বরাবরই মন্থর ও স্পিন সহায়ক। গত কয়েক বছরে তো কয়েকটি টেস্টে এই ২২ গজকে দেখা গেছে ভয়ঙ্কর টার্নিং রূপে। তবে কাইল জার্ভিসের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। জিম্বাবুয়ের পেসারের মতে, মিরপুরের উইকেট পেসারদের জন্য ভালো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 03:24 PM
Updated : 20 Feb 2020, 03:25 PM

২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত টেস্ট ক্রিকেটে এই মিরপুরেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে তাদের করেছিল হোয়াটওয়াশ। প্রতিটি ম্যাচেই ঢাকার উইকেট ছিল স্পিনারদের জন্য স্বর্গ।

পরিসংখ্যানও বলছে, মিরপুরের উইকেট স্পিন সহায়ক। এই মাঠে ১৯ টেস্টে পেসারদের উইকেট মোট ২১৭টি, স্পিনারদের উইকেট ৩৪২টি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিন বোলারই স্পিনার।

সংখ্যাতেই অনেকটা ফুটে উঠছে উইকেটের চরিত্র। এই উইকেটই আবার জার্ভিসকে সাড়া দিয়েছে অন্যভাবে। চোটের কারণে জিম্বাবুয়ের এবারের সফরে আসতে পারেননি এই পেসার। তবে বাংলাদেশে তিনি খেলে গেছেন আগে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুর টেস্টে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মত ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছিলেন সেই ম্যাচেই। 

একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জার্ভিস শোনালেন মিরপুরের উইকেট নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি।

“গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনেক ক্রিকেট খেলেছি এবং সেখানে ভালো সময় পার করেছি। মিরপুরের উইকেট পেস বোলিংয়ের জন্য সত্যিই ভালো। আমার খেলা শেষ টেস্টে মনে হয় প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলাম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি (দুটি)।”

গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেছে জিম্বাবুয়ে। হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুটি ম্যাচেই উইকেট ছিল নিষ্প্রাণ। ১৩ টেস্ট খেলা জার্ভিস নিজ দেশের উইকেটের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন মিরপুরের উইকেটকে।

“আমি সম্ভবত ঢাকার উইকেটকে এগিয়ে রাখব স্পোর্টস ক্লাবের উইকেটের চেয়ে, যেখানে আমরা কেবল খেললাম।”