২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। নয়নাভিরাম এই স্টেডিয়ামের সেটা ছিল অভিষেক টেস্ট। নিজেদের বানানো ফাঁদে নিজেরাই ডুবে ম্যাচ হেরেছিল স্বাগতিকরা।
সেই ম্যাচ থেকেই সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসটা পাচ্ছেন রাজা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ঐচ্ছ্যিক অনুশীলনের পর এই অলরাউন্ডার জানান, বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলানোর পথ খুঁজে পেয়েছেন তারা।
“আমি যেভাবে অনুশীলন করি, জিম্বাবুয়ে দল যেভাবে অনুশীলন করে তাতে কোনো স্নায়ু চাপ থাকলেও সেটা কেটে যাওয়ার কথা। টেস্ট্ ম্যাচ খুব কাছে, আমরা বেশ শান্ত আছি।”
“আমাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনারদের রেকর্ড খুব ভালো। ওদের স্পিনাররা আমাদের অনেক উইকেট নিয়েছে। তবে আমরাও ওদের বিপক্ষে রান করতে শুরু করেছি। সিলেট (টেস্ট) এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম।”
তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ এর বেশি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের নয় স্পিনার। এর মধ্যে বিশের বেশি গড় কেবল মোহাম্মদ রফিক, মাহমুদউল্লাহ ও জুবায়ের হোসেনের।
সাকিব আল হাসান ৩৬ ম্যাচে ১৮.১৫ গড়ে নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। আব্দুর রাজ্জাক রাজ্জাক ১৬ ম্যাচে কেবল ১১.৭০ গড়ে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। ৭ ম্যাচে বিশের একটু কম গড়ে ৪০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ৪ ম্যাচে ১৮.৮৬ গড়ে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১৫ উইকেট।
মিরপুর টেস্টের স্বাগতিকদের তাইজুল-মিরাজের সঙ্গে আছেন তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তারাই হতে পারেন সফরকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের সিরিজের পারফরম্যান্স আশা দেখাচ্ছে রাজাকে।
“শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট আমরা হেরেছি যেটা সহজেই ড্র হতে পারত। দ্বিতীয় টেস্টে ফল যা দেখাচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আমরা এখান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছি। আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে তৃতীয় টেস্টটা খেলতে যাচ্ছি।”
“ছেলেদের মানসিকতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী। আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।”