প্রাণবন্ত উইকেটে টেস্ট ম্যাচও উপভোগ্য হবে: শরিফুল

উইকেটে পেসারদের জন্য কিছুই নেই। একটু প্রাণের সন্ধানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন বিসিবি একাদশের তিন পেসার। শরিফুল ইসলাম মনে করছেন, এই ধরনের উইকেটে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ উপভোগ করা কঠিন। উইকেটে প্রাণ থাকলে টেস্ট ম্যাচও হবে উপভোগ্য। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 01:52 PM
Updated : 18 Feb 2020, 03:19 PM

বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের তিন পেসার শরিফুল, সুমন খান ও মুকিদুল ইসলাম মিলে উইকেট কেবল একটি। সেটি নিয়েছেন শরিফুল। দিনের খেলা শেষে বাঁহাতি এই পেসার জানালেন, বেশ কষ্ট করেই বোলিং করতে হয়েছে তাদের।

“আজ কষ্ট তো হয়েছেই। অনেক দিন পর বোলিং করলাম কোনো অনুশীলন না করেই। একটু কষ্ট হয়েছে আরকি।”

“এসব উইকেটে খেললে কম উপভোগ্যই হবে টেস্ট ক্রিকেট। বাইরের দেশে যেসব উইকেটে খেলা হয়, সেখানে প্রতি বলই উপভোগ্য হয়। উইকেটের একটা ব্যাপার আছে। উপভোগ করার মতো উইকেট হলে তো উপভোগ্য হবেই। উইকেট প্রাণবন্ত হলে লাল বলের ক্রিকেটও উপভোগ্য হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার পেস সহায়ক বাউন্সি উইকেটে বোলিং দারুণ উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। সেই উইকেটে খেলে এসে বিকেএসপির উইকেটে মানিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন ছিল শরিফুলের জন্য।

“দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ছিল বাউন্সি, এটা তো বাউন্সি ছিল না। এটাই প্রথম পার্থক্য। আবহাওয়ার পার্থক্য আছে। ওখানে গরম ছিল বেশি, এখানে তেমন নাই। ওখানে গরম হলেও বোলিং করতে ভালো লাগছিল। গরম হলেও ঘামিনি ওখানে, কিন্তু এখানে ঠাণ্ডা হলেও ঘেমেছি অনেক।”

“উইকেট আসলে আমরা যেরকম আশা করেছিলাম, ওইরকম না। আমরা যে কন্ডিশনে বোলিং করে এসেছি, ওই উইকেটে বোলিং করা আর এখানে বোলিং করা অনেক পার্থক্য। আর এসব উইকেটে আসলে পেসাররা খুব বেশি সুবিধা পায় না।"

আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে শরিফুলের। ২০১৭ সালে এই সংস্করণে হয়েছিল অভিষেক। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, জানা আছে ১৮ বছর বয়সী এই পেসারের।

“আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে। এখানে আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে…দূরে বল করে এখানে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে না। সামনে, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করলে সুযোগ আসে উইকেটের। মিস হলে উইকেটের সুযোগ থাকবে।”