অভিমান জমেছে তাইজুলের মনের কোণে

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড ভালো, মনে করিয়ে দিতেই যেন একটু ক্ষুব্ধ শোনাল তাইজুল ইসলামের কণ্ঠ। সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ততটা কার্যকর নন স্পিনাররা, এই পরিসংখ্যান শুনে দিলেন অভিমানী উত্তর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 12:43 PM
Updated : 18 Feb 2020, 01:57 PM

অনুভূতির প্রকাশ খুব একটা করতে দেখা যায় না তাইজুলকে। নিজের কাজটা সবসময় করে যান মনোযোগ দিয়ে। পাদপ্রদীপের আলো কখনও খুব একটা স্পর্শ করে না তাকে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে মুমিনুল হকের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার রেকর্ড দারুণ। পাঁচ টেস্টে নিয়েছ্নে ৩৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এই দলের বিপক্ষে অভিষেকে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। দলটিকে আবার সামনে পেয়ে কতটা উজ্জীবিত তাইজুল?   

“এ কথাটা আসলে ভালো লাগল না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুধু উইকেট পেয়েছি, তেমন তো আর না। আরও অনেক দলের বিপক্ষে খেলে উইকেট পেয়েছি। আপনি যাদের বিপক্ষেই খেলেন, ভালো জায়গায় বল না করলে কখনোই সাফল্য পাবেন না।”

“ওরা যে একেবারে খারাপ দল তাও কিন্তু না। ভালো জায়গায় বল না করলে শাসন করবেই। ভালো জায়গায় বোলিং করলে অনেক সুযোগ আসবে, উইকেটও আসবে। যেটা দলের জন্য ভালো। এই আর কি।”

২০১৮ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই হারের পেছনে নিজেদেরই দায় বেশি দেখেন তাইজুল।

“আমি ওই হারকে দুর্ঘটনা বলব না। দুর্ঘটনা আলাদা জিনিস। আমরা খারাপ খেলেছিলাম বলে হেরেছি। পরের ম্যাচ ভালো খেলেছি বলে জিতেছি। এটা দুর্ঘটনা নয়। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ভালো না খেললে হারাটাই স্বাভাবিক।”

সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে দেশের বাইরে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর কোনোটিতেই খুব একটা ভালো করতে পারেননি স্পিনাররা। অভিমান করেই বললেন, সাকিব মানের কেউ না এলে তার অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়।

“যদি (স্পিনারদের কার্যকারিতা কম) হয়ে থাকে তাহলে আমরা এখন যারা স্পিনার আছি তারা ভালো স্পিনার না। সাকিব ভাইয়ের মতো না। এটাই সত্যি। সাকিব ভাই থাকলে যেহেতু ভালো হতো এখন যেহেতু হচ্ছে না তাহলে আমরা ভালো না। আর এর উত্তর আমার কাছে নেই।”

“ওই মানের খেলোয়াড় আসতে হবে। এখন নাই ওই মানের খেলোয়াড়। এটাই তো….এই কারণেই পেসার নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানি না…বললাম তো ওই মানের স্পিনার আসলে হইনি বলে রেজাল্ট হচ্ছে না।”

দেশে তাইজুল-মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম হাসানদের রেকর্ড দারুণ। ত্রয়ীর মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তাইজুল জানান, দেশের মাটিতে খেলার সময় বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে তাদের মধ্যে।

“দেশে যখন খেলা হয়, একটু নিজের কাছে অন্যরকম লাগে। ভালো করব কিংবা ভালো করার অনুভূতিটা থাকে আর কি। আমার কাছে মনে হয়, ভালো করাটাই আসলে স্বাভাবিক।”