জিম্বাবুয়ের ভালো শুরুর পর শাহাদাতের বোলিং ঝলক

সতীর্থরা ভালো করায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তার বোলিংয়ের প্রয়োজন হয়নি। সুযোগ এলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। বিসিবি একাদশের হয়ে বল হাতে নিয়েই জ্বলে উঠলেন শাহাদাত হোসেন। ভালো শুরুর পর তার অফ স্পিনেই খাবি খেল সফরকারীদের মিডল অর্ডার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 12:04 PM
Updated : 18 Feb 2020, 12:04 PM

বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে বিকেএসপিতে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন জিম্বাবুয়ের হয়ে ফিফটি করেছেন দুজন। মঙ্গলবার দিন শেষে প্রথম ইনিংসে তাদের রান ৭ উইকেটে ২৯১।

ওপেনার কেভিন কাসুজা করেন ৭০ রান। কার্ল মুম্বা অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে।

মূলত ব্যাটসম্যান হলেও বোলিংয়ে দারুণ করেছেন শাহাদাত। সপ্তম বোলার হিসেবে বোলিংয়ে এসে ৮ ওভারের টানা স্পেলে নেন ৩ উইকেট।

তিন পেসারের মধ্যে শুধু শরিফুল ইসলাম পান একটি উইকেট। দুই লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন ছিলেন উইকেটশূন্য।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয় জন আছেন বিসিবি একাদশে-আকবর আলী, পারভেজ হোসেন, মাহমুদুল হাসান, তানজিদ হাসান, শরিফুল ও শাহাদাত। এর মধ্যে শুধু তানজিদকে বাইরে রেখে সবাই নামেন মাঠে। আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ চেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তাই হয়নি টস।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে উইকেট ছিল ফ্ল্যাট। গতি কিংবা মুভমেন্ট; ছিল না কিছুই। উইকেট থেকে তাই কোনো সুবিধা পাননি পেসাররা। মরা উইকেটে লাঞ্চের আগে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটিই ভাঙতে পারেনি স্বাগতিকরা।

প্রথম ওভারেই মুকিদুল ইসলামের বলে কাসুজার বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন হয়েছিল। আম্পায়ার তাতে সাড়ে দেননি। ডানহাতি পেসার মুকিদুল শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেংথ দিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখেন।

নতুন বলে মুকিদুলের সঙ্গী বাঁহাতি পেসার শরিফুলের শুরুতে রানআপে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম উইকেট অবশ্য পেতে পারতেন তিনিই। কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রিন্স মাসভাউরে। কয়েকবারের চেষ্টাতেও বল মুঠোয় জমাতে পারেননি অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র।

পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে মুকিদুল দেন কেবল ১১ রান। তার জায়গায় বোলিংয়ে আসেন সুমন খান। শরিফুলের ৭ ওভারের স্পেলের পর তাকে সরিয়ে আনা হয় লেগ স্পিনার আমিনুলকে।

জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা আমিনুল ছিলেন খরুচে। প্রথম ওভারে হজম করেন এক চার। দ্বিতীয় ওভারে তার চার বলে তিন চার হাঁকান মাসভাউরে।

লাঞ্চের আগে জিম্বাবুয়ে ২৮ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৯৫ রান। বিরতির পর পাল্টে যায় চিত্র। মাসভাউরেকে ফিরিয়ে ১০৫ রানের জুটি ভাঙেন আল আমিন। অফ স্পিনারকে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ব্রায়ান মাদজিঙ্গানিয়ামা ও ক্রেইগ আরভিন ফেরেন থিতু হয়ে। আরভিনকে ফিরিয়ে শাহাদাত নেন প্রথম উইকেট। শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে কিপারকে ক্যাচ দেন মাদজিঙ্গানিয়ামা।

শাহাদাত পরে একই ওভারে ফেরান রেজিস চাকাভা ও টিনোটেন্ডা মাটোমবডজিকে। দুজনই পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ।

কাসুজা একবার মাঠ ছেড়েছিলেন। পরে আবার ফেরেন মাঠে। তার ৭০ রানের ইনিংস কাটা পড়ে রান আউটে। থিতু হয়ে ফেরেন মারুমা।

শেষ এক ঘণ্টায় আর উইকেট নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। অষ্টম উইকেটে ৬৫ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন মুম্বা ও আইন্সলে এনডিলোভু।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯১/৭  (মাসভাউরে ৪৫, কাসুজা ৭০, মাদজিঙ্গানিয়ামা ১৭, আরভিন ১০, মারুমা ৩৪, চাকাভা ১৩, মাটোমবডজি ০, মুম্বা ৫৪*, এনডিলোভু ২৫*, মুকিদুল ১১-৩-৩৯-০, শরিফুল ১৫-৫-৪৫-১, সুমন ১৩-৪-২৯-০, আমিনুল ১৯-১-৭৭-০, রিশাদ হোসেন ১২-৩-২৬-০, শাহাদাত ৮-২-১৬-৩)।